ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পে বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৯ মে ২০১৭

তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পে বাম্পার ফলন

তাহমিন হক ববী তিস্তা কমান্ড এলাকা থেকে ॥ আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায় লুকোচুরি খেলারে ভাই। উত্তরবঙ্গের তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকাসহ রংপুর কৃষি অঞ্চলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঘরে ধান, গোলায় ধান, আঙ্গিনায় ধান, জমিতে ধান, সড়কে শুকাতে দেয়া ধান। এলাকার প্রতিটি কৃষকের ঘরে-বাইরে এখন শুধু ধান আর ধান। এবারে এত ধান ফলেছে যা কৃষকের ঘরে রাখার জায়গাটুকুও নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর নিকোব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব এড়িয়ে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি কৃষি বিভাগের। এতে শুধু রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় চালের হিসাবে সম্ভাব্য উৎপাদন আশা করা হচ্ছে ২০ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। বুধবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জমি হতে প্রায় ৬৫ ভাগ ধান কৃষক কাটাই মাড়াই শেষে ঘরে তুলেছে। বাকি ৩৫ ভাগ ধান আগামী ১২ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারবে এমন কথাই জানালেন কিষাণ-কিষাণী। রংপুর কৃষি অঞ্চল অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার রংপুর কৃষি অঞ্চলে ৫ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল পাঁচ লাখ ২ হাজার ২৮৪ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অর্জিত হয় ৫ লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৯ হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বেশি। এর মধ্যে নীলফামারীতে ৮২ হাজার ১১০ হেক্টরে, রংপুরে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০ হেক্টরে, গাইবান্ধায় ১ লাখ ৯ হাজার ৬১২ হেক্টরে, কুড়িগ্রামে ১ লাখ ১০ হাজার ৫০২ হেক্টরে ও লালমনিরহাটে ৫০ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। ৬শ’ ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্রুত কাজ এগোচ্ছে মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিমি দূরে শিয়ালকোলে বিশাল নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয়েছে। জাতীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ এম মনসুর আলীর নামানুসারে সিরাজগঞ্জে নির্মাণাধীন ‘শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের’ নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মনসুর আলী সরকারী এই মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয়বরাদ্দ ধরা হয়েছে ছয় শ’ সাঁইত্রিশ কোটি টাকা। ৩০ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা ২০১৯ সালের জুন মাসে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই পাঁচ শ’ শয্যার হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য ব্যয় করা হচ্ছে এক শ’ ছিয়াশি কোটি টাকা। পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। মেডিক্যাল কলেজের ১০ তলা ফাউন্ডেশনের ৬ তলা একাডেমিক ভবন ও ৮তলা ফাউন্ডেশনের ৬ তলাবিশিষ্ট ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই টেন্ডার গ্রহণ করে তার মূল্যায়ন কাজ শুরু হয়েছে।
×