ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চান মারিয়া

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৮ মে ২০১৭

চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চান মারিয়া

তরুণ প্রজন্মের ঢালিউডের নবাগত মুখ মারিয়া চৌধুরী। বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ঢাকাই চলচ্চিত্রে যার পথচলা শুরু । এই পরিচালকের নতুন ছবি ‘অবলা নারী : ওয়াও বেবি ওয়াও’-তে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন মারিয়া। তার মায়াবী চেহারা, সুমধুর মিষ্টি কণ্ঠ ও মনকাড়া হাসি মুহূর্তেই সবাইকে মুগ্ধ করে। তিনি তার রূপমাধুর্য ও অভিনয় প্রতিভা দিয়ে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয় জয় করে নিতে চান। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী ছবি ও ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গে কথা বললেন আনন্দ কণ্ঠের সঙ্গে। লিখেছেন রুহুল আমিন ভূঁইয়া বাবা আর্মিতে চাকরি করেন। সেই সুবাদে বড় হয়েছেন ক্যান্টনমেন্টের সুশৃঙ্খল পরিবেশে। অনেক স্বপ্নই ছোটবেলা থেকে সঙ্গী হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নায়িকা হবার ইচ্ছেটা এভাবে বাস্তবায়ন হবে ভাবেননি। তাও কিনা গুণী নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের মতো পরিচালকের হাত ধরে। ‘অবলা নারী-ওয়াও বেবি ওয়াও’ ছবিটি মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত এ্যাকশন ও রোমান্টিকধর্মী চলচ্চিত্র। যে ছবিতে মারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আরেক নবাগত নায়ক তুর্কী ইমরান। পুরো নাম মারিয়া চৌধুরী। তার বয়স, অভিনয়ের ধরন ও চেহারা দেখে অনেকেই বলছেন সোহানুর রহমান সোহান বুঝি নতুন মৌসুমী উপহার দিতে যাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে। বলাবাহুল্য, ১৯৯৩ সালে সালমান শাহর বিপরীতে সোহানুর রহমান সোহান মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। সেই সময়ের মৌসুমী ছিলেন সদ্য কিশোরী। অভিনয়গুণে তিনি আজ এ দেশের প্রথম সারির একজন চিত্রাভিনেত্রী। গুণী নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ঢাকাই চলচ্চিত্রে প্রবেশে করেছেন অনেক তারকা। পরবর্তীতে যাদের জনপ্রিয়তা হয়েছে আকাশচুম্বি। জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ, পপি, শাকিব খান, মৌসুমী তার মাধ্যমেই চলচ্চিত্রে এসেছেন। এদের তারকা হিসেবে খ্যাতির পেছনে সোহানুর রহমান সোহানের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে সোহানুর রহমান সোহানের নতুন আবিষ্কার মারিয়া চৌধুরী। মারিয়াও একদিন দেশ সেরা তারকা হবেন এমটাই প্রত্যাশা এই গুণী নির্মাতার। দেশ সেরা হিসেবে মারিয়াকে তৈরি করতেই নিজ হাতেই মেকআপও ঠিক করে দিয়ে ছিলেন জানালেন মারিয়া। এভাবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন মারিয়া। হাঁটছেন তার স্বপ্নের পথে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক ভাগ্যবান সোহান স্যারের মতো পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছি। ছবিতে আমার চরিত্রটি আমি অনেক উপভোগ করে অভিনয় করছি। আমার অভিনয় দেখে ইউনিটের সবাই অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এবার দর্শকদের রায় দেবার পালা। তারা যদি আমার ছবিটাকে গ্রহণ করেন তবেই আমি সফল হতে পারব।’ ‘নায়িকা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম দৃশ্যেই আত্মহত্যার অভিনয় করার জন্য পাহাড়ে উঠেছি, অনেক উঁচু পাহাড়। এরপর গানের শুটিং করতে গিয়ে ডান্স করেছি। যদিও আমি ছোটবেলা থেকেই ডান্স করি, কিন্তু ফিল্মের ডান্সটা একটু আলাদা। সবাই বলেছে, আমি খুব ভাল করেছি। ফাইট করেছি ভিলেনের সঙ্গে, একারনে ঢাকায় আমি ছয় মাস ফাইট শিখেছিলাম। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো গাড়ি চালিয়েছি, যা আগে আমি জানতাম না। মাত্র পাঁচ মিনিটে গাড়ি চালানো শিখে গিয়েছিলাম। ছবির জন্য যা কিছু দরকার, তার প্রয়োজনে সব করেছি।’ ‘অবলা নারী’ ছবির নায়িকা মারিয়া চৌধুরীর কথায় বোঝা গেল, ছবির জন্য দরকারি কোন কাজেই এতটুকু আপত্তি বা জড়তা ছিল না তাঁর। ‘অবলা নারী-ওয়াও বেবি ওয়াও’ ছবিতে আপনার চরিত্র সম্পর্কে বলুন? এ চলচ্চিত্রে প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। ‘প্রথমে আমি সাধারণ একজন নারী চরিত্রে অভিনয় করলেও ধীরে ধীরে দর্শক আমাকে প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে দেখতে পাবে। বাস্তব জীবনে খুব একটা সাহসী না হলেও ছবিতে এ্যাকশান দৃশ্যে অংশ নিয়েছি। দারুণ অভিজ্ঞতা।’ হাতে নতুন কী কাজ রয়েছে? নতুন একটি ছবির ব্যাপারে কথা হয়েছে। সময় হলে সবকিছু জানানো হবে। এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান ছবিটি প্রয়োজনা করবেন। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে ছবিটি নিমিত হবে। ঈদের পর থেকে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। টিভিসিতে দর্শক সাড়া কেমন পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার প্রথম টিভিসিটি ছিল আরএফএল ম্যাজিক চেয়ারের। সেখানে আমি শহরের মডার্ণ মেয়ে থাকি। আর দ্বিতীয় টিভিসিটিতে গ্রামের একটি মেয়ে। সম্পূর্ণ আলাদা দুটি চরিত্রে আমাকে উপস্থাপন করে দর্শক সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে আমার মুখের ডায়ালগ ‘তাহলে আমি কার?’ খুব হিট করেছে। অভিনয়ে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে মারিয়া আনন্দকণ্ঠকে বলেন, ‘কবরী, শাবানা, মৌসুমী আপাদের মতো আমিও ঢালিউডের রানী হতে চাই। প্রতিষ্ঠিত একজন অভিনেত্রী হতে চাই। অভিনয় দিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকতে চাই মানুষের অন্তরে। এরই মধ্যে বেশ ক’জন নির্মাতা এবং প্রযোজক আমাকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমি দেখে শুনে এগুতে চাই।’
×