ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রোটিয়াদের থামানো যাবে না

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৮ মে ২০১৭

প্রোটিয়াদের থামানো যাবে না

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইসিসির টুর্নামেন্টের অপর নাম যেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুঃখ! বিশেষ করে বিশ্বকাপে। বার বার ফেবারিট হিসেবে শুরু করেও ভাগ্যের ফেরে শিরোপা জেতা হয় না। কখনও রান আউটের ফাঁদে, কখনও বৃষ্টি আইনে আটকে যাওয়া...। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে প্রোটিয়াদের নামই তো হয়ে গেছে ‘চোকার’! আইসিসির আসরগুলোতে দলটির একমাত্র সাফল্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেটি সেই শুরুর আসরে, যখন এর নাম ছিল নকআউট বিশ্বকাপ। বাংলাদেশে পাওয়া সেই সাফল্যের পর পেরিয়ে গেছে দেড় যুগ। খরা কাটানোর আশায় আবার সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকেই টার্গেট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডে যেটি শুরু হচ্ছে ১ জুন। অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে তিনি বলেছেন, ‘এবার আর প্রোটিয়াদের কেউ থামাতে পারবে না।’ কুইন্টন ডি কক, হাসিম আমলা, কাগিসো রাবাদা, ফ্যাফ ডুপ্লেসিস, ডেভিড মিলার, কেশভ মহারাজদের নিয়ে গড়া স্কোয়াডকে বর্তমান সময়ের সেরা ওয়ানডে দল বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘গ্রুপে আমি আমাদের দারুণ সম্ভাবনা দেখছি। আমরা যদি ভাল ক্রিকেট খেলতে পারি, আমি সত্যিই বিশ্বাস করি গ্রুপে আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। গত কয়েক বছর ধরে আমরা প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলছি। হতাশার ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এই পর্যায়ে নিজেদের মানদ অনেক ওপরে তুলে নিয়ে এসেছি। ধারবাহিক ভাল ফলাফল উপহার দিয়েছি।’ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের মাটিতে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলকে নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপের পরই সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট আইসিসি নকআউট ট্রফি। ঐ আসরে শিরোপা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম কোন বড় ট্রফি জেতে দুর্ধর্ষ প্রোটিয়ারা। এবার ‘বি’ গ্রুপে এশিয়ার তিন পরাশক্তি পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে ডি ভিলিয়ার্সের দল। অধিনায়কের টগবগে আত্মবিশ্বাসের আরেকটা কারণ নিজেদের শক্তি। ব্যাটিং লাইনআপও দুর্দান্ত। ওপেনিংয়ে হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক, এরপর ফ্যাফ ডুপ্লেসিস, ডি ভিলিয়ার্স, জেপি ডুমিনি ও ডেভিড মিলার। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের জন্য আছে চার চারজন পেস বোলিং-অলরাউন্ডার। সঙ্গে কাগিসো রাবাদা ও মরনে মর্কেলকে নিয়ে দুর্দান্ত পেস আক্রমণ। দুর্দান্ত ফর্মে লেগস্পিনার ইমরান তাহির, স্পিনে কেশব মহারাজের উত্থান বাড়তি পাওয়া। অন্যতম ফেবারিট হয়েই যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ভিলিয়ার্সের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দেশ ছেড়েছে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হলেও সফর অনেক লম্বা। ২৪ মে থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ওয়ানডের পর্ব শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টি২০, এরপর চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সবমিলিয়ে ১২ সপ্তাহের সফর। তবে আপাতত মূল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেই লক্ষ্য পূরণে দারুণ আত্মবিশ্বাসী গোটা প্রোটিয়াশিবির। দেশ ছাড়ার আগে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও বলছেন, তার দল সবদিক থেকেই পরিপূর্ণ। ডি ভিলিয়ার্স তো আরও একধাপ এগিয়ে। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামানোর মতো প্রতিপক্ষই দেখছেন না তিনি। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে শীর্ষে ভারত, তারপরই প্রোটিয়াদের অবস্থান।
×