ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কের সোনারগাঁও লুপ খুলে দেয়া হলো

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৮ মে ২০১৭

মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কের সোনারগাঁও লুপ খুলে দেয়া হলো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকের অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। প্রকল্প নির্মাণের তৃতীয় ধাপে এ অংশটি উন্মুক্ত করা হলো। ফলে বেইলি রোডের দিক দিয়ে যেসব গাড়ি মগবাজার হয়ে এই ফ্লাইওভারে উঠবে, সেসব গাড়ি এই র‌্যাম্প দিয়ে নেমে কাওয়ানবাজারের দিকে যেতে পারবে। এটি একমুখী লুপ। তাই অন্য কোন অংশ থেকে কাওরানবাজারে আসার সুযোগ নেই। প্রকল্পের মোট আয়তন আট দশমিক সাত কিলোমিটার। এটিই রাজধানীর সবচেয়ে বড় উড়াল সড়ক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বুধবার এই র‌্যাম্পের উদ্বোধন করার পরপরই ওই পথে যান চলাচল শুরু হয়। শুরুর দিকে এই লুপটি ছিল এফডিসি লেবেল ক্রসিং পর্যন্ত। বারবার ট্রেন আসায় লুপ থেকে নামার পরই দীর্ঘ সময় গাড়িগুলোকে অপেক্ষা করতে হবে। এতে জনভোগান্তি বাড়তে পারে। এমন বিবেচনায় প্রকল্পটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে নির্মাণ হওয়া অংশ ভেঙ্গে দিয়ে রেলগেট ছাড়িয়ে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত লুপটি নামানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি রেললাইনের ওপর দিয়ে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল জানান, ফ্লাইওভারের এ অংশের দৈর্ঘ্য ৪৫০ মিটার। এতে দুটি লেন। বর্ধিত এ অংশের নির্মাণে ফ্লাইওভারের ব্যয় বেড়েছে ৪৫ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১১ সালে যখন এই ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর পর কয়েক ধাপে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন ভাগে হচ্ছে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার মৌচাক পর্যন্ত। ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ এ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করেন। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
×