বিডিনিউজ ॥ বিশ্বজুড়ে র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে বড় বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নতদেশসহ বিশ্বের ১৫০টি দেশে একযোগে সাইবার হামলা বিশ্ববাসীকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
‘হ্যাকারদের কবল থেকে অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে মুক্ত রাখতে তথ্য-প্রযুক্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন কৌশল ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’ বুধবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
গত শুক্রবার বিশ্বের শতাধিক দেশে একটি ‘র্যানসমওয়্যার’ ছড়িয়ে পড়ে, যাতে আক্রান্ত হয় স্বাস্থ্য ও টেলিকমসহ বিভিন্ন খাতের বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশেও অন্তত ৩০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন দেশের সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিবছর ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিগ ডেটা ফর বিগ ইমপ্যাক্ট’।
সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘তথ্য ও উপাত্তের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে গোপনীয়তা, নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন থাকতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ আমাদের উন্নয়ন ভাবনা ও গতিকে যেমন ত্বরান্বিত করছে তেমনি চ্যালেঞ্জও বাড়িয়ে দিয়েছে।
‘তথ্য উপাত্তের সঠিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে ঝুঁকির মাত্রাও বেড়ে যায়। এর ফলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংস্থা, সেবা খাত বিশেষ করে আর্থিক ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা থাকে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি মুখ্য নিয়ামক হল সকলের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা। প্রযুক্তি বিকাশের ফলে একদিকে যেমন উন্নয়নে নতুন গতি এসেছে তেমনি ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের অনিষ্ট সাধনে এর অপব্যবহারও বেড়েছে।