ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যারা পিছিয়ে তাদের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছি ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৮ মে ২০১৭

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যারা পিছিয়ে তাদের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছি ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কোন অঞ্চলে মানুষ উপেক্ষিত থাকবে না। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে এনে সকলের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যারা পিছিয়ে আছেন তাদের শিক্ষা-দীক্ষা এবং আর্থসামাজিকভাবে যাতে তারা উন্নত হতে পারেন সেই উদ্যোগটা আমরা হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার তার কার্যালয়ে আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে বৃত্তি হিসেবে ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে ১৬ জন কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে এ বৃত্তির চেক তুলে দেন। নিজ নিজ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে এদিন চেক গ্রহণে আগত শিক্ষার্থীরা নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরিধান করায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি ভিন্ন মাত্রা লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষাকে অধিকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, দেশের প্রায় ৫৫টি জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। তাদের জীবনমান কিভাবে উন্নত করা যায় এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কিছু বিশেষ এলাকা নিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। এ জন্য বাজেটেও আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, খুব ক্ষুদ্র আকারে হলেও এসব জেলায় তারা রয়েছেন। কজেই তাদের জীবনমান কিভাবে উন্নত করা যায় এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কিছু বিশেষ এলাকা নিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করি। এ জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা সবসময় মনে করি শিক্ষা হচ্ছে একটি জাতির অধিকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাঁওতাল, মুরং, হাজং, গারো, খাসিয়াসহ বহু ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এ দেশে রয়েছে। তাদের সংস্কৃতি শিক্ষা এবং মাতৃভাষার সম্মান বজায় রাখা আমাদের লক্ষ্য। যাতে এসব বৈচিত্র্যময় নৃগোষ্ঠীর ভাষার এবং তাদের বিভিন্ন সংস্কৃতির চর্চা সঠিকভাবে তারা করতে পারেন। সেই সঙ্গে তারা যেন শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে না পড়ে। কারণ, বাংলাদেশকে সকল পর্যায়ের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে সুশিক্ষায় সজ্জিত হয়ে শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে।
×