ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবির ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ নাটকের তিন প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ১৮ মে ২০১৭

ঢাবির ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ নাটকের তিন প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নয়াদিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ৯ম এশিয়ান প্যাসেফিক এপিবি নাট্যোৎসবে ঢাবির থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের এমএ শেষ বর্ষের শিক্ষাথীদের অভিনীত ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছিল। ফরাসী নাট্যকার জ্যঁ রাসিনের ধ্রুপদী নাটক ‘ফেইড্রা’ অবলম্বনে ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ নাটকটির বাংলা অনুবাদ করেছেন অসিত কুমার। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন। ওই উৎসবে এশিয়ার ২০টিরও বেশি দেশের নাটকের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছিল এই নাটকটি। এরপর ঢাকায় প্রথমবারের মতো ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ নাটকের তিনটি মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভাগের নাট-ম-ল মিলনায়তনে মঙ্গলবার ও বুধবার দুটি মঞ্চায়ন হয়। আজ সন্ধ্যা ৭টায় একই মঞ্চে নাটকটির তৃতীয়বারের মতো প্রদর্শনী হবে। এক ঘণ্টা ব্যাপ্তিকালের এই নাটকে অভিনয় করেন ঢাবির থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের এমএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইলিয়াস বাসেত, আফরিন তোড়া, ইসতিয়াক খান পাঠান, ধীমান চন্দ্রবর্মণ, রানা নাসির, সাওগাতুল ইসলাম হিমেল এবং সাফওয়ান মাহমুদ। ড্রামাতুর্গ ও নাট্যকথন ও গীতরচনায় শাহমান মৈশান ; মঞ্চ, আলো ও দ্রব্য পরিকল্পনায় আশিক রহমান লিয়ন ; পোশাক পরিকল্পনায় ওয়াহীদা মল্লিক জলি, আশিক রহমান লিয়ন, কাজী তামান্না হক সিগমা ; রূপসজ্জা পরিকল্পনায় রহমত আলী ; সঙ্গীত পরিকল্পনা ও প্রয়োগে সাইদুর রহমান লিপন, কাজী তামান্না হক সিগমা এবং দেহবিন্যাসে অমিত চোধুরী। নাটকটি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ থেকে যখন একটি প্রযোজনা হয় তখন সেটি আর শুধু একটি প্রযোজনারূপেই থাকে না। ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ প্রযোজনাটি থিয়েটারের শিক্ষণপ্রণালীর ফলাফলরূপে নির্মিত। আমার মনে হয়, পেডাগজি বা শিক্ষণপ্রণালী কেবল কিছু নিয়মবদ্ধ নীতিমালা বা পদ্ধতি মাত্র নয়। শিক্ষা পদ্ধতি বলতে সাধারণত যা বোঝায়, শিল্পের শিক্ষণপ্রণালী তার চেয়েও বেশি কিছু। আর জ্যঁ রাসিনের ‘ফেইড্রা’ নাটকটিতে ফরাসী ধ্রুপদীবাদের মৌল নীতিগুলোর প্রতিফলন খুবই স্পষ্ট। কিন্তু রাসিনের এই মাস্টারপিসের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আমরা এক নতুন প্রস্থান বিন্দুর সূচনা করতে চেয়েছি। এই প্রস্থান-বিন্দুতে লক্ষ্য করা যাবে পশ্চিমা ধ্রুপদী কানুনের সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের এথনিক বা জাতিতাত্ত্বিক ও দেশজ নাট্য নন্দনতত্ত্বের একটি সংশ্লেষ ঘটেছে। আমরা এই প্রযোজনার মর্মস্থলে বা পরতে পরতে অভিনয়, দৃশ্যগত উপাদান যেমন মঞ্চ আলো পোশাক রূপসজ্জা, দেহবিন্যাস এমনকি বিষয়বস্তু বা পা-ুলিপিগত দিক থেকেও সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে পুনঃসৃজনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি। নাট্য সাহিত্যের অনুকরণের ধারণাকে না বলতে চেয়েছি। অনুকরণের পরিবের্তে এই প্রযোজনায় আমরা গুরুত্ব দিয়েছি থিয়েটার শিল্পের সৃজনশীল মূলনীতিগুলোকে কিভাবে নতুনভাবে প্রয়োগ করা যায়। গত বছরের অক্টোবরে নয়াদিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় প্রদর্শনী করার আগে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় টিএসসির তৃতীয়তলায় সেমিনার কক্ষে নাটকটির বিশেষ একটি প্রদর্শনী হয়েছিল।
×