ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-এরদোগান বৈঠক

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ১৮ মে ২০১৭

ওয়াশিংটনে ট্রাম্প-এরদোগান বৈঠক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও কুর্দীদের মধ্যে মিত্রতা মেনে নেবে না আঙ্কারা। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ইঙ্গিত দেন তিনি, খবর বিবিসি/এএফপির। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের অঞ্চলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কোন জায়গা হবে না। সিরিয়ায় লড়াইরত কুর্দীদের ওয়াইপিজি বেসামরিক বাহিনীকে উদ্দেশ করে এ কথা বলেন তিনি। চলতি মাসের প্রথমদিকে ওয়াইপিজিকে অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বৈপরীত্য সত্ত্বেও দুই নেতা অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের মধ্যে অসাধারণ সম্পর্ক বিদ্যমান এবং আমরা এই সম্পর্ক আরও উন্নত করব। এর কিছুক্ষণ পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, নেটো মিত্র তুরস্কের নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি পুনরুল্লেখ করেছেন ট্রাম্প এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। কুর্দী পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে (ওয়াইপিজি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। সিরিয়ার আরও এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়া থেকে বাহিনীটিকে বিরত রাখতে চায় দেশটি। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ওই অঞ্চলে ওয়াইপিজি-পিওয়াইডিকে অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য, এটি আমরা যে বৈশ্বিক চুক্তিতে পৌঁছেছি তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তুরস্কের দাবি, তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াইরত নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দীস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সম্প্রসারিত অংশ ওয়াইপিজি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ওয়াইপিজিকে পৃথক একটি বাহিনী বলে মনে করে এবং সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। গণভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।
×