ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এলপি গ্যাস রফতানি সম্ভব

বিদ্যুত ও জ্বালানি ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরও প্রাধান্য দিতে হবে ॥ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ১৭ মে ২০১৭

বিদ্যুত ও জ্বালানি ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরও প্রাধান্য দিতে হবে ॥ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুত ও জ্বালানি ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরও প্রাধান্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভারতকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আশাবাদী ভারতকে মাথায় রেখে যেসব চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা করছি, তারাও সেভাবে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপি গ্যাস রফতানি করা সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় এলপিজি গ্যাসের খুব অভাব। ত্রিপুরা সরকার চাইলে কম খরচে বাংলাদেশ থেকে এলপিজি গ্যাস নিতে পারে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পুরাতন ভবনের সেমিনার কক্ষে ‘পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট : বিবিআইএন সিনারিও’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ঢাকা কেন্দ্র এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুত নিচ্ছি আরও নেব। নেপাল ও ভুটান থেকেও বিদ্যুত আনা হবে। এ ধরনের বণ্টন ও সহায়তা সারা বিশ্বে ঈর্ষণীয় হবে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারসাম্য থাকা উচিত, তাহলেই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। এক্ষেত্রে ভারতকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, আমরা পিছিয়ে পড়ছি। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী নিয়ে যদি এগিয়ে যেতে না পারেন, তা হলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। স্মার্ট গ্রিডের কোন বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার বলেন, ২০০৬-০৭ সময়ে আমরা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিলাম। বর্তমানে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। প্রবন্ধ উপস্থাপকালে পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, জিডিপির সঙ্গে বিদ্যুত ও জ্বালানি গভীরভাবে সম্পৃক্ত। ২০০৮ সালে ৪ হাজার ৯৩১ মেগাওয়াট থেকে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল ১৫ হাজার ৩৭৯ মে.ও উন্নীত হয়েছে। গুণগত মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনলাইন বিল কালেকশন, অনলাইন এপ্লিকেশন, ই-টেন্ডারিং সিস্টেমকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। ভারতের প্রকৌলশী চিন্ময় দেবনাথ বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আরেক প্রকৌশলী সুদীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ফার্নেস অয়েল থেকে বিদ্যুত উৎপাদন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের এটি ভেবে দেখতে হবে। সেমিনারে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুরসহ চার দেশের বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×