ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এদেশে দারিদ্র্য বিমোচনই ডেনমার্কের প্রধান ইস্যু ॥ রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১৭ মে ২০১৭

এদেশে দারিদ্র্য বিমোচনই ডেনমার্কের প্রধান ইস্যু ॥ রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকেল হেমনিটি উইনথার জানিয়েছেন, হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে বাংলাদেশে কূটনীতিকরা এখনও নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র ইস্যুতে বিশেষজ্ঞদের মতামতকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনই ডেনমার্কের প্রধান ইস্যু বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান। অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার ঘটনার পর আমরা সবাই নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। এখনও আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। আমাদের চলাফেরায় এখনও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। হলি আর্টিজানের মতো জঙ্গী আক্রমণের ঝুঁকি এখনও আছে। তাই নিজেদের রক্ষার জন্য আমরা নিজেরাই নানান পদক্ষেপ নিচ্ছি। সন্ত্রাসী ও জঙ্গী হামলা প্রসঙ্গে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার নিজের দেশ ডেনমার্কেও জঙ্গী আক্রমণের ঝুঁকি আছে। পৃথিবীতে ১৪০টি দেশে জঙ্গী হামলার ঝুঁকি রয়েছে। প্রত্যেকটি দেশে ঝুঁকির মাত্রা আলাদা। আমরা অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করে থাকি। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মিকেল বলেন, এটি একটি জটিল বিষয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ডেনমার্কের কোন সমাধান দেবে না। এটি দুই দেশ মিলেই সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের জন্য রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। আমরা দুই দেশকেই এ বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছি। তাছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ডেনমার্ক মানবিক সহায়তাও দিয়ে আসছে। রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প সম্পর্কে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সরকার বা জনগণ এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা নেবে এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না। এক প্রশ্নের উত্তরে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ডেনমার্কের ৭০টি কোম্পানির ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে ৯২ শতাংশই পোশাকশিল্প পণ্য। তবে ডেনমার্ক এখন বাংলাদেশের বাইসাইকেল শিল্পের প্রতি ধীরে ধীরে আকৃষ্ট হচ্ছে বলে তিনি জানান।
×