ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ, রাসেল ৩-০ ফরাশগঞ্জ

শেষ আটে শেখ রাসেল কেসি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৭ মে ২০১৭

শেষ আটে শেখ রাসেল কেসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এই আসরের ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন তারা। পাঁচ বছর পর আবারও শিরোপা জেতার আকাক্সক্ষা তাদের। সেই স্বপ্নপূরণের পথে প্রথম বাধা পেরুলো শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেড। ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে এবং এক ম্যাচ হাতে রেখেই কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে তারা। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ও ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারায় তারা। খেলার প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। রাসেলের মতো এই গ্রুপের অন্য দল শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব একদিন আগেই নিশ্চিত করে শেষ আটে নাম লেখায়। আর ফরাশগঞ্জ বিদায় নিল গ্রুপ থেকেই টানা দুই ম্যাচে হেরে। গত মৌসুমে অনেক টাকা খরচ করে শক্তিশালী দল গড়েও ‘অশ^ডিম্ব’ প্রসব করেছিল। মানে কোন ট্রফি জিততে ব্যর্থ হয়। সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে এবার তারা কোমর বেঁধেই মাঠে নামে। দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় অভিজ্ঞ শফিকুল ইসলাম মানিককে। তিনি চেষ্টা করছেন দলকে ভাল কিছু উপহার দিতে। সেটারই প্রথম ধাপ দেখা গেল মঙ্গলবার। দলকে শেষ আটে নিয়ে গেলেন তিনি। মঙ্গলবারের ম্যাচের ৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে অরূপ কুমার বৈদ্যর বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে পেয়েও জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন শেখ রাসেলের একাধিক ফুটবলার। ১৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার আফজাল হোসেনের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে সরিয়ে দেন শেখ রাসেলের গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। ১৭ মিনিটে আক্রমণে যায় ‘লালকুঠি’ খ্যাত ফরাশগঞ্জ। বক্সে ঢুকে তীব্র শট নেন ফরোয়ার্ড নবী আলম। অল্পের জন্য তা জালে ঢোকেনি। এরই মধ্যে দৌড়ে এসে বল বিপদমুক্ত করেন রাসেলের ডিফেন্ডাররা। ৩২ মিনিটে গোলের চমৎকার সুযোগ নষ্ট করে শেখ রাসেল। বক্সে ঢুকে ফরাশগঞ্জের গোলরক্ষক বোরহান উদ্দিনকে একা পেয়ে শট নেন রাসেলের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জুলফিকার। কিন্তু সেই শটটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশায় পোড়েন জুলফিকার এবং তার দল রাসেল। তবে পরের মিনিটেই সাফল্যের হাসি হাসে রাসেল। কাক্সিক্ষত গোলের সন্ধান পায় তারা। ৩৩ মিনিটে বাঁপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে বাঁ পায়ের তীব্র শটে ফরাশগঞ্জের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন শেখ রাসেলের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাউদা সিসে (১-০)। উল্লাসে ফেটে পড়ে রাসেল শিবির। ৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা। ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজীবের পাসে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রাসেলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার অরূপ কুমার বৈদ্য। দুই ডিফেন্ডার দুই পাশ থেকে চেপে ধরেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। অসাধারণ এক শটে বল জালে পাঠান অরূপ (২-০)। ৫৩ মিনিটে নিজেদের তৃতীয় গোলের দেখা পায় শেখ রাসেল। বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে অরূপ বৈদ্যের ক্রসে শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজীব (৩-০)। তবে জিতলেও রাসেলের খেলা দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তাদের সমর্থকরা। তবে তিন পয়েন্ট প্রাপ্তি এবং কোয়ার্টারে যাওয়ায় সেই অপরাধ নিশ্চয়ই মাফ করে দিয়েছে তারা।
×