ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৭ মে ২০১৭

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আয়োজক ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসর মাঠে গড়াবে ১ জুন। যতটা না টুর্নামেন্ট, এজবাস্টনে ৪ জুন ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ঘিরে তারচেয়ে ঢের বেশি আগ্রহ। কারণটা অনুমেয়। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দু’দেশের দিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ হয়ে আছে। ভারত সরকার ওই হামলার জন্য পাকিস্তানী জঙ্গীগোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে। সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে সেটি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা সবসময়েই থাকে। তবে সময়ের প্রেক্ষাপটে এবার আরও ব্যাপক রূপ নিয়েছে। আট জাতির ওয়ানডে আসরটি শুরু হতে এখনও দুই সপ্তাহের মতো বাকি। অথচ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মন্তব্য করে বড় তারকারা সেই উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। যে তালিকায় আছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, শহীদ আফ্রিদি, ক্রিস গেইলসহ অনেকেই। সৌরভের কথার সারমর্ম, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত আবারও পাকিনস্তানকে হারাবে।’ কেন হারাবে সেটির যুক্তি তুলে ধরে আধুনিক ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এ ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘সর্বশেষ ৮-১০ বছরে দুই দলের অনেক পার্থক্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে যে নিয়মিত দাপট দেখাচ্ছে ভারত সেটি অন্যতম কারণ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ৪ জুন বার্মিংহামে ভারত আবারও এটা করে দেখাবে।’ ওয়ানডেতে ১২৭ সাক্ষাতে পাকিস্তানের কাছে ভারত হেরেছে ৭২ ম্যাচে আর জিতেছে ৫১ ম্যাচে। কিন্তু আইসিসির বড় ইভেন্টে বিশেষ করে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ মঞ্চে এসব পরিসংখ্যান কোন কাজেই আসে না। সেখানে ভারত এমনই এভারেস্ট সেটি কখনও পাকিস্তানের টপকানো হয়নি। প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাকিস্তানেও আছে। কিন্তু দুইদলের পার্থক্যটা বোঝা যায় চাপে। সৌরভ মনে করেন, চাপের মুখে ভারত যতটা ভাল করে, পাকিস্তান ততটা নয়। অন্যদিকে মঞ্চটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বলেই সরফরাজ আহমেদদের সম্ভাবনায় এত বেশি ইতিবাচক তুখোড় পাকিস্তানী অলরাউন্ডার আফ্রিদি, ‘এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের লোভনীয় ম্যাচÑ বছরের অন্যতম বড় ক্রিকেট ম্যাচ থেকে আমরা আর কয়েকটা দিন দূরে। বিশ্বের লাখ লাখ ভক্তদের মতো আমিও ম্যাচটি নিয়ে উত্তেজিত। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দীর লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছি। এটিই আইসিসির একমাত্র ইভেন্ট যেখানে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সফলতা আছে। ২০০৪ সালে এজবাস্টনে আমরা জিতেছিলাম এবং পরে ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে। আমি আশাকরি সবুজ জার্সিধারীরা এজবাস্টনে আবার জ্বলে উঠবে এবং ভারতের বিপক্ষে উন্নত রেকর্ড অক্ষুণœœ রাখবে।’ কিন্তু সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সের বিচারে পাকিস্তান ভারতের চেয়ে পিছিয়ে, এ বিষয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘হ্যাঁ এটা ঠিক। তবে ম্যাচটা যেহেতু পাকিস্তান-ভারত, তাই আমি মনেপ্রাণে আশা করছি এজবাস্টনে আমরা একটি ক্লাসিক লড়াই দেখতে পাব।’ আর ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং জিনিয়াস গেইলের চোখে ভারতই এগিয়ে, ‘সত্যি বলতে, লড়াইটা দেখতে আমি নিজেও অধীর হয়ে আছি। আসন্ন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ম্যাচ হবে এটি এবং দুর্দান্ত একটি লড়াই আমরা দেখতে পাব। তবে এ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতই এগিয়ে থাকবে। কারণ বিরাট কোহলির নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে দলটি দারুণ ক্রিকেট খেলছে।’
×