ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাফাতের ড্রাইভার বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৭ মে ২০১৭

সাফাতের ড্রাইভার বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত রিমান্ডে

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ রাজধানীর বনানীতে রেইন ট্রি হোটেলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বিল্লালকে চার এবং রহমত আলীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তদন্ত কর্মকর্তা ইসমত আরা এমি। এদিকে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত ‘রেইন ট্রি হোটেল’ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট কোন বক্তব্য দেয়নি। অন্যদিকে দ্বিতীয় দিনের অভিযানে গুলশানে সিলগালা করে দেয়া আপন জুয়েলার্সের বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় এক শ’ কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার ‘আটক’ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদ নামে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানার আদালত আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। আসামি বিল্লালকে চার দিন এবং রহমত আলীকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হেমায়েতউদ্দিন মোল্লা জামিন আবেদনের শুনানিতে জানান, দেহরক্ষী রহমত সোমবার থানায় আত্মসমর্পণ করে। এ বিবেচনায় তার জামিনের আবেদন করেন তিনি। ঢাকা মহানগর আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এখনও একজন আসামি পলাতক আছে জানিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতে বিল্লাল ও রহমত কারও সঙ্গে কোন কথা বলেনি। আর রহমত আলী বারবারই গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে মুখ লুকানোর চেষ্টা করে। আদালতে বাদীপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফাইমিদা আক্তার। এর আগে মামলার ৯ দিন পর সোমবার রাতে আধাঘণ্টার ব্যবধানে বনানীর ধর্ষণ মামলার আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং দেহরক্ষী রহমত আলীকে গ্রেফতারের কথা জানায় র‌্যাব ও পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুরান ঢাকার নবাবপুরের ইব্রাহিম রেসিডেন্সিয়াল হোটেল থেকে গাড়িচালক বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর আলম মাতুব্বর। বিল্লাল এ মামলার চার নম্বর আসামি। রাতেই রাজধানীর কাওরানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত গাড়িচালক বিল্লালের বরাত দিয়ে র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক (সিও) জাহাঙ্গীর আলম মাতুব্বর জানান, ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও গ্রেফতারকৃত বিল্লালই করেছে। তারা ভিকটিমদের মদসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য জোর করে সেবন করিয়েছিল। আসামিরা ভিকটিমদের ইয়াবাও সেবন করাতে চেয়েছিল, যাতে এর ভিডিও করে আসামিরা ভিকটিমদের ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। কিন্তু ভিকটিমরা ইয়াবা সেবন করেননি। ধর্ষণের আগে আসামিদের এক সহযোগী ভিকটিমদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল জোর করে খাওয়ায়। গ্রেফতারের পর বিল্লাল র‌্যাবকে জানায়, গত ৬ মে ভিকটিম তরুণীদের মামলা দায়েরের খবর শুনে সে তার মোবাইল ফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিওটি মুছে ফেলে। সাফাতসহ তারা সিলেটে চলে যায়। কিন্তু তারা সবাই একসঙ্গে থাকেনি। বরং আলাদা আলাদা রিসোর্ট ও হোটেলে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে সে ছাতক চলে যায়। তারপর সিলেট হয়ে সোমবার ভোরে সে ঢাকায় আসে তার আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে আইনের পরামর্শ করতে। এজন্য সে নবাবপুরের ইব্রাহিম হোটেলের ৫ নম্বর রুমে অবস্থান নেয়। ওই রুমেই সে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শও করে। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাকে ওই হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিল্লালের বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার দাড়িডোমা গ্রামে। অন্যদিকে একই দিন আধাঘণ্টার ব্যবধানে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের সামনে থেকে বডিগার্ড রহমতকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি শটগান ও ১০ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে বলে জানান ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। কৃষ্ণপদ রায় বলেন, রহমতের সঙ্গে থাকা অস্ত্রটি লাইসেন্স করা। ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ শাহজাহান ও সহকারী কমিশনার সাকলাইন এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। শাহজাহান বলেন, রহমত তার এক আত্মীয়র বাসায় যাচ্ছিল। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে ওতপেতে ছিলাম। গ্রেফতারকৃত সাফাতের সঙ্গে এ দুজনও ধর্ষণের ওই মামলার আসামি। মামলার চার দিন পর সাফাতকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেফতার হয় আরেক আসামি সাদমান সাকিফ। সাদমান পিকাসো রেস্তরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। পাঁচ আসামির মধ্যে নাঈম আশরাফ বা হাসান মোহাম্মদ হালিম এখনও পলাতক। এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে সাফাত ও নাঈম দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিল। অন্য তিনজন ছিল সহায়তাকারী। অভিযোগকারী তরুণীদের একজন জানিয়েছিলেন, পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে ২৮ মার্চ রেইন ট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তারা। তাদের নিতে গাড়ি নিয়ে এসেছিল সাফাতের গাড়িচালক ও দেহরক্ষী। ধর্ষণের সময় দেহরক্ষী রহমতকে দিয়ে ভিডিওধারণ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন ওই তরুণী। রেইন ট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত ‘রেইন ট্রি হোটেল’ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও তারা স্পষ্ট কোন বক্তব্য দেয়নি। ওই সংবাদ সম্মেলনে কার্যত কৌশলী অবস্থান নেয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রেইন ট্রি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রুপের জিএম রাজা গোলাম মোস্তাফা ও হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশজুড়ে আলোচিত এ ঘটনার বিচার চান তারা। বেরিয়ে আসুক প্রকৃত ঘটনা। তিনতারকা হোটেল ‘রেইন ট্রি’-তে ধর্ষণের এ ঘটনায় যে নামগুলো আলোচনায় এসেছে তার মধ্যে একটি আওয়ামী লীগের সাংসদ বজলুল হক হারুনের ছেলে মাহির হারুন। সংবাদ সম্মেলনে মাহিরের পক্ষে সাফাইও গেয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। রিজার্ভেশনের সময় আইনের কোন ব্যত্যয় হয়নি বলেও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। জেনারেল ম্যানেজার রাজা গোলাম মোস্তফা বলেন, ১৩ মে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কোন মাদক খুঁজে পায়নি। ওই দিনই সন্ধ্যায় হোটেলের সিসিটিভি সিস্টেম জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই পরদিন সকালে কিভাবে হোটেলে মদ পাওয়া গেল সেটা আমাদেরও প্রশ্ন আপনাদের বিবেকের কাছে। ঘটনার দিন আপনারা অনাকাক্সিক্ষত কোন ঘটনার আলামত বা কোন শব্দ পেয়েছিলেন কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলী অবস্থান নেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তদন্তাধীন। কর্মচারীরা সেদিন কী দেখিছিলেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবেও ‘তদন্তধীন’। রেইন ট্রির এমডি শাহ মোঃ আদনান হারুন সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাব দেন। রেইন ট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষ এর আগে দাবি করেছিল, ঘটনার পর দিন সকালে তারা ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীকে হাসিমুখে হোটেল থেকে বের হতে দেখেছেন। তবে আগের ওই বক্তব্য আজ অস্বীকার করা হয়। হোটেলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। ফুটেজ মুছে যাওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে ফুটেজ মুছে ফেলার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। হোটেলের সুনাম নষ্ট করার জন্য এমন করা হচ্ছে। ফুটেজ প্রসঙ্গে হোটেল সোনারগাঁও, র‌্যাডিসন ও ওয়েস্টিন হোটেলের উদাহরণও টানা হয়। ধর্ষণের এ ঘটনায় রেইন ট্রি সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত বলেও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। অপরদিকে ধর্ষণ ঘটনার প্রধান আসামি শাফাত আহমেদের সঙ্গে হোটেলের পরিচালক মাহির হারুনের বন্ধুত্বের বিষয়টিও তারা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী হোটেল অতিথি বিশেষ দিনকে উপলক্ষ করে তাদের হোটেলের তরফ থেকে কেক ও ফুলের ব্যবস্থা করা হয়। শাফাত আহমেদের জন্মদিনেও তাই করা হয়েছে। মাহির হারুনের সঙ্গে শাফাতের কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। এ সময় ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন শুধু বলেন, তারা তাদের বক্তব্য সাংবাদিকদের কাছে প্রেস রিলিজ আকারে দিয়েছেন। আর কোন বক্তব্য তাদের নেই। তিনি বলেন, হোটেলে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, সেটি আদালতে প্রমাণিত হবে। এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটি তদন্ত করছে, এটি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে আগে দাবি করলেও আজ কেন বলা হচ্ছে ঘটনাটি ঘটেছে প্রশ্ন করলেও তিনি কোন জবাব দেননি। ঘটনার পরদিন দুই শিক্ষার্থী আসামিদের সঙ্গে হাসতে হাসতে বেরিয়েছেন বলে আগে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এখন এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য কী জানতে চাইলেও কোন উত্তর দেননি আদনান হারুন। তিনি পাল্টা করে কোন কর্তৃপক্ষ এমন কথা বলেছে জানতে চাইলে তাকে সেখানে উপস্থিত হোটেলের ইন্টারনাল অপারেশন এক্সিকিউটিভ ফারজান আরা রিমির কথা জানালে তারা দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তারা এ বিষয়ে কথা বলবেন না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক ফ্রাঙ্ক ফরগেট, হোটেলের ইন্টারনাল অপারেশন এক্সিকিউটিভ ফারজান আরা রিমি এবং এই গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক রাজা গোলাম মোস্তফা। আপন জুয়েলার্সে অভিযানে প্রায় শত কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার আটক দ্বিতীয় দিনের অভিযানে সোমবার রাতে আপন জুয়েলার্সে আরেকটি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ২১২ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ‘আটক’ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ধর্ষণের মামলায় মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে মামলার পর রবিবার রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ কেজি সোনা ও হীরার গহনা ‘আটক’ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তিনি বলেন, গুলশানে সুবাস্তু টাওয়ার বিক্রয়কেন্দ্রে থেকে ২১২ কেজি সোনা পাওয়া গেছে। যার মূল্য প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫ কেজি সোনার তথ্য প্রমাণাদি দেখাতে পেরেছে তারা। ওই বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা মূল্যের ১ হাজার ৮৪০ ক্যারেট হীরা আটকের কথাও জানান তিনি। এর মধ্যে ৬০০ ক্যারেটের কাগজপত্র আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ দেখাতে পেরেছে। বনানীতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক। এই পরিবারের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ থাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে তদন্ত চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। শুল্ক কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, আমরা এই ডায়মন্ড ও স্বর্ণগুলো তাদের জিম্মায় দিয়ে আসছি এবং দোকান সিলগালা করে দিয়েছি। তারা বলছে, বাকি কাগজগুলো ১৭ তারিখের মধ্যে দেখাতে পারবে। এদিকে আপন জুয়েলার্সে শুল্ক গোয়েন্দাদের এই অভিযানকে হয়রানিমূলক দাবি করে তার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি।
×