স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি সিরিজে আজ বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড লড়াই করবে। ম্যাচটি ডাবলিনের মালাহিড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে চারটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
ম্যাচটিতে নামার আগে বাংলাদেশ ২ ও নিউজিল্যান্ড ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। বাংলাদেশ একটি ম্যাচ খেলে জিততে পারেনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে ম্যাচ। নিউজিল্যান্ড অবশ্য আইরিশদের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। দুই দলের মধ্যকার এ সিরিজে পার্থক্য করতে গেলে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবে। প্রথম ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা খেলতে পারেননি। তাই সাকিব আল হাসান অধিনায়ক ছিলেন। সেøা ওভার রেটের জন্য এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকেন মাশরাফি। সেটি প্রথম ম্যাচে কার্যকর হয়ে গেছে। আজ মাশরাফি খেলবেন। নেতৃত্বও দেবেন। আরেকদিকে নিউজিল্যান্ড দলটি পুরো শক্তির দল নয়। দলটির প্রায় ১০ ক্রিকেটারই তিনজাতি সিরিজের দলে নেই। তারা আইপিএলে খেলার জন্য ব্যস্ত থাকায় দলে থাকেননি। যেহেতু তিনজাতি সিরিজটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিমূলক সিরিজ, তাই নিয়মিত ক্রিকেটারদের অনেকেই দলে নেই। তবে যারা আছেন, তারাও কম শক্তিধর নন। একাই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। সেই ক্ষমতা এখন বাংলাদেশ রুখে দিতে পারলেই হয়। তাহলেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে বিদেশের মাটিতে হারাবে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। অথচ একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সবকটিতে নিউজিল্যান্ড জিতেছে। আজ যদি বাংলাদেশ জিতে যায় তাহলে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে বিদেশের মাটিতে হারাবে বাংলাদেশ। পারবে মাশরাফিবাহিনী তা করে দেখাতে?
মালাহিডের উইকেট যে পেসনির্ভর তা বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচেই বুঝেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই দেখা গেছে আবার স্পিন স্বর্গ। স্পিনার মিচেল স্যান্টনার যেমন একাই ৫ উইকেট তুলে নেন। আর তাই নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসনও স্পিন দিয়েই যেন বাংলাদেশকে হারাতে চান। তিনি বলেছেন, ‘আপনার এমন কিছু বোলার দরকার যারা প্রথম ১০ ওভারে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে জিতান আমাদের জন্য কাজটি করবে। আমরা আসলে খানিকটা বৃত্তের বাইরে থেকে চিন্তা করছি। দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা বেশ বিধ্বংসী। উইকেটে সুইং না থাকলেও তারা দ্রুত উইকেট নেয়ার যোগ্যতা রাখে। সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে সাদা বল খুব একটা সুইং করছে না। সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে প্রথম ১০ ওভারে দ্রুত উইকেট নেয়াটা জরুরী হলেও, এমন উইকেটে সেটা করা কঠিন।’
হেসন যেন বুঝিয়ে দেন, পেসার নন; স্পিন দিয়েই যা করার করবেন। তাহলে বাংলাদেশও নিশ্চয়ই ছেড়ে দেবে না। সাকিব তো আছেনই। সঙ্গে রয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুইজন মিলেই তো নিউজিল্যান্ডকে বিপাকে ফেলতে পারবেন। এখন দেখা যাক, বাংলাদেশ ম্যাচটিতে কি করতে পারে।