ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবির সিনেট নির্বাচন

‘স্বতন্ত্র প্যানেলের সঙ্গে নীল দলের কোন সম্পর্ক নেই’

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ১৬ মে ২০১৭

‘স্বতন্ত্র প্যানেলের সঙ্গে নীল দলের কোন সম্পর্ক নেই’

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সিনেট নির্বাচনকে সামনে রেখে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত নীল প্যানেল ও বিদ্রোহী নীল প্যানেল পরস্পর পরস্পরকে অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করেছেন। সোমবার বিদ্রোহী নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত নীল প্যানেলকে অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করা হয়। অপরদিকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মূল নীল দলকে অগণতান্ত্রিক বলায় এর প্রতিবাদস্বরূপ মূল নীল দলের মনোনীত প্রার্থী ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া জনকণ্ঠকে বলেন, নীল দলের পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত নীল প্যানেলই বৈধ কমিটি। নতুন করে যারা নীল দলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্যানেলে নির্বাচন করছে সেই প্যানেলের সঙ্গে নীল দলের কোনরকম সম্পর্ক নেই। বিশ^বিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার কৌশলস্বরূপ নব্য এই স্বতন্ত্র প্যানেলের আবির্ভাব ঘটেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াস করে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ হিসেবে ধারণ করে তারা কখনও মূল নীল দলের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্যানেল ঘোষণা করতে পারে না। বিদ্রোহী নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বশেষ নীল দলের সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অননুমোদিত একটি প্যানেল অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন কর্তৃক জমা দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে দলের আদর্শ সমুন্নত রাখার প্রয়োজনে ও বিশ^বিদ্যালয়ের স্বার্থে আসন্ন সিনেট নির্বাচনে দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে ৩৫ জনের একটি প্যানেল জমা দেয়া হয়। বিশ^বিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর আলোকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল থেকে আগামী ২২ মে অনুষ্ঠেয় সিনেটে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ১০ মে অনুষ্ঠিত নীল দলের সাধারণ সভায় ৩ প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করায় সর্বসম্মতভাবে ৩৭ জনের একটি তালিকা গৃহীত হয়- যার মধ্যে থেকে ৩৫ জনের একটি প্যানেল জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু, নীল দলের অতীত ঐতিহ্য এবং রীতি-নীতি লঙ্ঘন করে দলের দুই কো-কনভেনরসহ কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রশাসনের একটি অংশের প্রত্যক্ষ যোগসাজশে অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন সাধারণ সভায় গৃহীত প্যানেলটি ব্যাপক পরিবর্তন করে সীলকৃত খামে জমা দেন।
×