ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আশরাফুলের ব্যাটিংয়ে কলাবাগানের জয়

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৬ মে ২০১৭

আশরাফুলের ব্যাটিংয়ে কলাবাগানের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) দিয়ে আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অবশ্য এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাটে রান দেখা যায়নি। এবার ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগেও (ডিপিএল) বেশ সংগ্রাম করেছেন। আগের ম্যাচটিতে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের একাদশ থেকেই বাদ পড়েছিলেন। পরের ম্যাচে ফিরে সোমবার খেললেন ৮৭ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস। তার এমন ব্যাটিংয়ে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে মাত্র ১ রানে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আর ফতুল্লায় জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে টানা নবম জয় তুলে নিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে। সোমবার ডিপিএলের তিন ম্যাচেই ছিল বৃষ্টির আক্রমণ। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ৪৫ ওভারে নামিয়ে আনা হয় ম্যাচ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২১৩ রান তুলতে পেরেছিল শেখ জামাল। অধিনায়ক রাজিন সালেহ সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছিলেন। আবুল হাসান রাজু ৩ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় কলাবাগান। আশরাফুল উইকেটে আসার পর অবশ্য দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন তাসামুল হক (৭০ বলে ৭ চারে ৪৮) এবং তুষার ইমরান (১০)। কিন্তু আশরাফুল জ্বলে ওঠেন। প্রথম ৬ ম্যাচ খেলে ৭৭ রান করেছিলেন তিনি। শুধু মোহামেডানের বিপক্ষে ৪৬ রানের একটি ইনিংস খেলতে পারলেও বাকিগুলোতে আর দুই অঙ্কেও পৌঁছতে পারেননি। তাই একাদশ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে সোমবার দারুণ ব্যাটিং করলেন। চতুর্থ উইকেটে মেহরাব হোসেন জুনিয়রের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটি গড়েন। ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান আশরাফুল। তিনি অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। ৪৩.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তুলে ৭ উইকেটের জয় পায় কলাবাগান। ৯ ম্যাচে এটি তাদের মাত্র দ্বিতীয় জয়। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ৪৩ ওভারের ম্যাচ হয়েছে। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভাল শুরু পায় প্রাইম ব্যাংক। দারুণ খেলতে থাকা মেহেদী মারুফ ৭০ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৮ রান করার পর বিদায় নেন। এরপর উত্তর প্রদেশের ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। চতুর্থ উইকেটে জাকির হাসানের সঙ্গে ১১২ রানের জুটি গড়ে দলকে ভাল একটি সংগ্রহের পথে নিয়ে যান তারা। অভিমন্যু ৬৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ এবং জাকির ৫০ বলে ৬ চারে ৫২ রান করে বিদায় নেন। ৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৪৯ রানের ভাল একটি সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক। নিহাদুজ্জামান ৩ উইকেট নেন। জবাব দিতে জুনায়েদ সিদ্দিকীর দারুণ ব্যাটিংয়ে ভালই শুরু করেছিল ব্রাদার্স। তিনি ৬৭ বলে ৬ চারে ৫১ রান করে ফিরে যান। দারুণ খেলতে থাকা অলক কাপালিও ৪৮ বলে ৬ চারে ৪৬ রান করে সাজঘরে। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে মানবিন্দ্র বিসলা ও মাইশুকুর রহমান ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন। বিসলা ৪৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করে আউট হওয়ার পরও জয়ের কাছাকাছি ছিল ব্রাদার্স। কিন্তু নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৮ রানে থামে তারা। টানা ৮ ম্যাচ জিতে এককভাবে শীর্ষে থাকা গাজী গ্রুপ দুর্বল খেলাঘরের বিপক্ষে নামে ফতুল্লায় ৪৩ ওভারের ম্যাচে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে মাত্র ১৭৫ রান তুলতে পেরেছিল খেলাঘর। আবু হায়দার রনি নেন ৪ উইকেট। অমিত মজুমদার সর্বোচ্চ ৫৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান করেন। জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই জহুরুল ইসলামের (০) উইকেট হারালেও এনামুল হক বিজয়ের ৭৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় করা ৬৭ এবং সোহরাওয়ার্দী শুভর ৮৩ বলে ৪ চারে অপরাজিত ৫৮ রানে জয় পেয়ে যায় গাজী। ৩৬.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৬ রান তুলে টানা নবম জয় পায় তারা।
×