ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবল, রহমতগঞ্জ ৩-০ বিজেএমসি

সবার আগে শেষ আটে রহমতগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৬ মে ২০১৭

সবার আগে শেষ আটে রহমতগঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই দলের কোচের নামে মজার মিল। রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির কোচ কামাল বাবু। আর টিম বিজেএমসির কোচ জাকারিয়া বাবু। শেষ পর্যন্ত দুই কোচের দ্বৈরথে বিজয়ীর হাসি হাসলেন প্রথম জনই। সোমবার ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবলে ‘ডি’ গ্রুপের খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। যাতে ‘সোনালী আঁশের দল’ টিম বিজেএমসিকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারায় ‘আইলো’ এবং ‘ডাইলপট্টি’ খ্যাত পুরনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের এই প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়েছিল ২-০ গোলে। এই জয়ে চলতি আসরে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল, অর্থাৎ শেষ আটে নাম লেখানো নিশ্চিত করেছে কামাল বাবুর শিষ্যরা, তাও এক ম্যাচ হাতে রেখেই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে কোয়ার্টারে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিল বিজেএমসি। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যাওয়াতে তাদের এখন গ্রুপ থেকেই পাততাড়ি গোটানোর প্রেক্ষাপট রচিত হয়ে গেছে। কেননা এবারের ফেডারেশন কাপে প্রতি গ্রুপ থেকে তিন দলের মধ্যে দুটি যাবে শেষ আটে। প্রতিটি দল গ্রুপে খেলবে দুটি করে ম্যাচ। সে অনুযায়ী গ্রুপ ‘ডি’তে বাকি আছে এক ম্যাচ। সেটি হবে ব্রাদার্স এবং রহমতগঞ্জের মধ্যে। ব্রাদার্সের আছে ১ পয়েন্ট আর রহমতগঞ্জের ৩ পয়েন্ট। তাই শেষ ম্যাচে ব্রাদার্স বড় ব্যবধানে হারলে (কমপক্ষে ৪-০ গোলে) কোয়ার্টারে যেতে পারবে বিজেএমসি। আর শেষ ম্যাচে শুধু মাত্র ড্র করতে পারলেও শেষ আটে খেলা নিশ্চিত হবে ব্রাদার্সের। সোমবারের ম্যাচে বলতে গেলে রহমতগঞ্জই খেলেছে পুরোপুরি প্রাধান্য বিস্তার করে। তাদের বিপক্ষে গোল করার মতো তেমন কোন সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেনি বিজেএমসি। আক্রমণ করার চেয়ে আক্রমণ রুখতেই বেশি ব্যস্ত ছিল তারা। এভাবে ১৮ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে সক্ষম হয় দলটি। তবে ১৯তম মিনিটে আর পারেনি। বাঁপ্রান্ত থেকে রহমতগঞ্জের অধিনায়ক-মিডফিল্ডার নাইমুর রহমান শাহেদের ক্রসে মাপা হেডে গোল করেন নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার মানডে ওসাজাই (১-০)। তিনি গোল করার পর প্রেসবক্সে কর্মরত সাংবাদিকরা মজা করে বলেন, ‘মানডেতে গোল করলে মানডে।’ ২৬ মিনিটে বিজেএমসির বক্সের কাছে ফ্রি কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি রহমতগঞ্জ। তবে ৩১ মিনিটে তাদের গোলপ্রচেষ্টা সফল হয়। প্রায় মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বিজেএমসির বক্সে ঢুকে পড়েন রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ। গোলরক্ষক সোহাগ হোসেন পলাশের মাথার ওপর দিয়ে মাপা শটে পোস্টে পাঠান। ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি পলাশ (২-০)। ৩৯ বাঁপ্রান্ত থেকে গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরার ক্রস বক্সে পেয়ে ফরোয়ার্ড মাহাবুবুল ইসলাম হিমু ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে না পারায় গোলবঞ্চিত হয় রহমতগঞ্জ। ৪৫ মিনিটে বাঁপ্রান্ত থেকে পাস দেন মিডফিল্ডার ইলিয়াস। তবে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে এবারও ব্যর্থ হন হিমু। ৮৫ মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড রাশেদুল ইসলাম শুভ আরেকটি গোল করে রহমতগঞ্জের জয় নিশ্চিত করেন।
×