ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আপন জুয়েলার্সের মালিককে পুলিশী হেফাজতে নেয়ার দাবি সাংস্কৃতিক জোটের

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ১৪ মে ২০১৭

আপন জুয়েলার্সের মালিককে পুলিশী হেফাজতে নেয়ার দাবি সাংস্কৃতিক জোটের

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বনানীতে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সাফাতের পিতা আপন জুয়েলার্সের মালিককে পুলিশী হেফাজতে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জোটের ‘ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ শীর্ষক এক সমাবেশ থেকে তিনি এই দাবি জানান। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিম-লীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোর শাখার সভাপতি সারোয়ার আলম খান দুলু, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি সহিদুল ইসলাম সাচ্চু, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস, অভিনয়শিল্পী তবিবুল ইসলাম বাবু প্রমুখ। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় পুত্রের অপকর্মের জন্য পিতা হিসেবে আপন জুয়েলার্সের মালিকের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা না করে প্রকারন্তরে তার এই ধর্ষক পুত্রকে সমর্থন করেছেন। তার কোটি কোটি টাকা এই ছেলেকে রক্ষা করার জন্য অর্থাৎ ধর্ষককে সহায়তা করার জন্য তিনি ব্যবহার করছেন। আমরা তাই মনে করি এই মামলার চূড়ান্ত তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এই আপন জুয়েলার্সের মালিককে পুলিশী হেফাজতে নিতে হবে। যাতে কোন অবস্থাতেই এই টাকা তিনি অন্যায় কাজে ব্যবহার করতে না পারেন।’ তিনি বলেন, আদালতে এই দুই নারীর যখন তাদের জবানবন্দী নেয়া হলো সেটি কিভাবে ইউটিউবে চলে এসেছে। কারা এটি করল সেটা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গোলাম কুদ্দুস বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে এভাবে নারী নির্যাতন হবে, ধর্ষণ হবে এটি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা মনে করি যারা দেশ পরিচালনা করছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাও এটি মেনে নিতে পারেন না। তারা যে এটা মেনে নিতে পারেন না সেটা আমরা বাস্তবে দেখতে চাই। শুধু কথার মধ্য দিয়ে নয়, বাস্তব কার্যকর ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সেই বিশ্বাসকে আমরা দৃঢ় করতে চাই। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, যারা এই সমস্ত দুর্বৃত্ত কাজে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যারা এই সমস্ত দুর্বৃত্তদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছে তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। গোলাম কুদ্দুস এ সময় সাম্প্রতিক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী ১৮ মে বিকেল পাঁচটায় একই স্থান থেকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেন এবং আগামী ২০ মে জোটের প্রতিনিধি সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও জানান।
×