ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিনারে বিশেষজ্ঞ অভিমত

মেডিক্যাল শিক্ষায় ত্রয়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নানা জটিলতা

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ১৪ মে ২০১৭

মেডিক্যাল শিক্ষায় ত্রয়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নানা জটিলতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা। এখানে ত্রয়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তিসংক্রান্ত সবকিছু স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কোর্স কারিকুলাম করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। আবার সার্টিফিকেট দেয় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও সে দায়িত্ব পায়নি। অনেক কলেজে রয়েছে শিক্ষক সঙ্কট, নেই লেখাপড়ার পরিবেশ। স্বায়ত্তশাসন দিয়ে একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব মেডিক্যাল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হলে বিদ্যমান জটিলতাসমূহ হ্রাস পাবে। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবনে ‘পাওয়ার এ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)’ আয়োজিত ‘মেডিক্যাল শিক্ষার মান : সুযোগ সুবিধা ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ রশিদ-ই মাহবুব, ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবির তালুকদার, ডাঃ এটিএম এমদাদুল হক প্রমুখ। সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোর বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। বেশকিছু মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি কলেজকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুনত্ব আনার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের পরিবেশের ওপর জোর দিয়ে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন কারণে পর্যাপ্ত দক্ষ চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে না। অনেক বেসরকারী কলেজে শিক্ষক, মেডিক্যাল উপকরণ ও রোগীর সঙ্কট রয়েছে। কিছুসংখ্যক মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল পর্যন্ত নেই। হাসপাতাল, রোগী ও পর্যাপ্ত মেডিক্যাল উপকরণ না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিক্যাল দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ে। নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর শিক্ষকদের যোগ্যতা ভালভাবে মনিটরিং করা হয় না। একজন শিক্ষককে শিক্ষাদান ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হয়। অনেক সময় শিক্ষাদানের তুলনায় চিকিৎসাদানে বেশি সময় দিতে হয় শিক্ষকদের। অনেক শিক্ষক একাধিক মেডিক্যাল কলেজে সম্পৃক্ত থাকেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই মাহবুব জানান, দক্ষ চিকিৎসক সৃষ্টি এবং মানসম্মত কলেজ গড়তে হলে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন রয়েছে। আর তা আন্তরিকভাবেই বাস্তবায়ন করতে হবে। রক্ত গ্রহণে সাবধান হতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী রক্ত গ্রহণে রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের মতোই পেশাদার রক্তদাতা রয়েছে, যারা নেশার অর্থ যোগাতে রক্ত বিক্রি করে থাকে। শনিবার রাজধানীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
×