ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডমিনিকা টেস্ট

শম্ভুক ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজের লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৪ মে ২০১৭

শম্ভুক ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজের লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিরিজ নির্ধারণী ডমিনিকা টেস্টে ব্যাটিংয়ে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩৭৬-এর জবাবে তৃতীয়দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২১৮ রান। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে ২০ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শন ডরিখ। ব্যক্তিগত ১১ রানে তার সঙ্গে আছেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, যার মূল পরিচয় একজন পেস বোলার। স্বাগতিকরা এখনও ১৫৮ রানে পিছিয়ে। পাকিস্তানকে এভাবে দাপুটে পজিশনে নিয়ে আসার অন্যতম রূপকার ইয়াসির শাহ। পতন হওয়া ৫ উইকেটের ৩টিই নিয়েছেন তুখোড় এই লেগস্পিনার। এই ম্যাচের ওপরই ১-১এ চলমান সিরিজের ভাগ্য নির্ভর করছে। তার ওপর দুই তারকা মিসবাহ উল হক এবং ইউনুস খানের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট এটি। ডমিনিকা দ্বৈরথ ঘিরে তাই ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ অনেক। বিনা উইকেটে ১৪ রান নিয়ে শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেট হারিয়ে এদিন ২০৪ রান যোগ করে, তবে এজন্য স্বাগতিকদের লেগে যায় ১০০ ওভার। গড় ২.১৮Ñ শম্ভুকগতির ব্যাটিং বলতে যা বোঝায়। কাইরন পাওয়েলকে ৩১ রানে থামিয়ে অতিথিদের প্রথম সাফল্য এনে দেন ইয়াসির। এরপর উইকেট ধরে রাখার টেকনিক অবলম্বন করে ক্যারিবীয়রা। তা সত্ত্বেও দলীয় ৬৯ রানে আবারও উইকেট হারায় তারা। আবারও ইয়াসিরের আঘাত। তিন নম্বরে নামা শিমরন হেটমায়ারকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে থামিয়ে দেন তিনি। দুই উইকেট পাওয়ার পর পাক স্পিনার যেন আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। ১২৩ বলে ২৯ রান নিয়ে সংগ্রাম করা ক্রেইগ ব্রেথওয়েটকেও ফেরান তিনি। ৯৭/৩-এ পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ধৈর্যশীল এক জুটি গড়েন শাই হোপ ও রোস্ট চেজ। প্রায় ২৯ ওভার একসাথে ব্যাট করে চতুর্থ উইকেটে ওভারপ্রতি ১ দশমিক ৯০ করে রান তুলেছেন তারা। স্বীকৃত বোলারদের দিয়ে যখন এই জুটি বিচ্ছিন্ন করা যাচ্ছিল না, তখন বাধ্য হয়েই ‘অকেশনাল’ আজহার আলিকে আক্রমণে নিয়ে আসেন মিসবাহ। পাক অধিনায়কের বিচক্ষণতা ভালই কাজে লাগে। ১১৬ বলে ২৯ রানে থাকা হোপকে থামিয়ে দেন আজহার। তার ইনিংসে মাত্র ২টি চারা। এই জুটির কাছ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় মূল্যবান ৫৫ রান। এরপর বিশাল সিংকে নিয়ে আবারও বড় জুটির স্বপ্ন দেখান চেজ। উইকেটে সেট হয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পান চেজ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬০ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ‘আহত অবসর’ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। প্রতিপক্ষ পেসার মোহাম্মদ আমিরের একটি ডেলিভারিতে পুল শট নিতে গিয়ে কনুই’য়ে আঘাত পান তিনি। একটু পরই ৮ রান করে আউট বিশাল। ডরিখ-হোল্ডারের অবিচ্ছিন্ন ২৯ রান তুলে তৃতীয়দিনের খেলা শেষ করেন। ইয়াসির নেন ৩ উইকেট। একটি করে শিকার মোহাম্মদ আব্বাস ও আজহারের। -সর্বশেষ- বোলারদের দাপটে নাটকীয় মোড় নিয়েছে ডমিনিকা টেস্ট। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩৭৬-এর জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়ে গেছে ২৪৭ রানে। সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন রোস্টন চেজ। আর কেউ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। সফরকারীদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পেসার মোহাম্মদ আব্বাস (৫/৪৬) ও লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ (৩/১২৬)। জবাবে চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে এ রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬৫ রান (২৮ ওভার)। জীবনের শেষ ইনিংসে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে গেছেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। ইউনুস খান ব্যাট করছিলেন ৩৪ রান নিয়ে। সব মিলিয়ে ৬ উইকেট হাতে রেখে ১৯৪ রানের লিড পাকিস্তানের।
×