ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বহুজাতিক কোম্পানির তালিকাভুক্তির এখনই সময় ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৪ মে ২০১৭

বহুজাতিক কোম্পানির তালিকাভুক্তির এখনই সময় ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আইন কানুন সংশোধনের ফলে দেশের পুঁজিবাজার এখন আর ফটকাবাজার নয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসেছে। শনিবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসা পরিচালনাকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। সেগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির সময় এসেছে। মুহিত বলেন, একটা সময় পুঁজিবাজার ফাটকা বাজারই ছিল। কোন আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি ছিল না। এখন অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। এখন আর ফাটকা বাজার নয়; এর ফল আমরা দেখছি। বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। এ পরিস্থিতিতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে বলতে পারি, তোমরা পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়। যেসব রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এখনও পুঁজিবাজারের অন্তর্ভুক্ত হয়নি- তাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। এর আগে আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের প্রয়োজনীয় নানা দিক নিয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার অমিত সম্ভাবনাময় খাত। কিছু সংস্কারের মাধ্যমে সরকার এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারকে কাজে লাগাতে পারে। ভাল কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনা দরকার। জিয়াউর রহমান বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে ভাল ব্যবসা করছে; তাদের মুনাফার বড় অংশই নিজ দেশে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে পুনর্বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। দেশের সাধারণ মানুষ এসব মুনাফার কোন ভাগই পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার কথা বলা হলেও কোন সাড়া মিলছে না। অথচ প্রতিবেশী ভারতে ইউনিলিভার, নেসলে, নোভার্টিস, এসকেএ্যান্ডএফ, সনোফি, মেটলাইফসহ প্রায় সব বড় বহুজাতিক কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। এমন অবস্থায় বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে ৩-৫ বছরের সময় দেয়া যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতির তুলনায় পুঁজিবাজারের আকার অনেক ছোট। জিডিপি-বাজার মূলধন বিবেচনায় আমরা বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ এমনকি ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার চেয়েও পিছিয়ে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে পুঁজিবাজারে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন। এছাড়া বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমানো, লভ্যাংশ আয়ে কর সুবিধা বাড়ানো, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার অফলোড করা, কার্যকর বন্ড মার্কেট চালুর প্রস্তাব তুলে ধরে ইআরএফ। এ প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
×