ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ বিশ্ব মা দিবস

এমন দরদি ভবে কেউ হবে না...

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৪ মে ২০১৭

এমন দরদি ভবে কেউ হবে না...

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার। বিশ্ব মা দিবস। ‘মায়ের একধার দুধের দাম/কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোশ বানাইলে ঋণের শোধ হবে না/এমন দরদি ভবে/কেউ হবে না আমার মাআগো।’ সত্যিই মায়ের ঋণ শোধ করা সম্ভব না। মায়ের জন্যই সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে। প্রতিটি ক্ষণ, মুহূর্ত নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যিনি সন্তানকে বড় করে তোলেন, তাকে পৃথিবীতে চলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন যিনি, সেই ‘মা’য়ের কাছে সন্তানের ঋণ পরিশোধের দিন আজ। মাকে ভক্তি, শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়ে তার দোয়া, আশীর্বাদ নেয়ার আজই সুযোগ। সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে তার মা। মা হচ্ছেন সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, দার্শনিক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। ইসলামে মায়ের মর্যাদা অসীম। মা’কে মহান আল্লাহ তা’য়ালা রাসূলে পাক হযরত মুহম্মদ (সঃ)-এর পর সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন। হাদিসে বলা আছে ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ নেপোলিয়ন বলেছিলেন ‘আমাকে একজন ভাল মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভাল জাতি উপহার দেব।’ বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। শতাব্দীর শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। তার সে ভাবনা বাস্তবায়নের আগে ১৯০৫ সালের ৯ মে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মায়েদের জন্য উৎসর্গ করে সরকারী ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়। এরপর পৃথিবীর দেশে দেশে মা দিবসটি পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশে এ দিবসটি ঘটা করে পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। যদিও মাকে সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দেখাতে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করে নেয়ার যুক্তি অনেকের কাছেই সেভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে অনেকেই মনে করেন মাকে সম্মান দেখাতে, তাকে গভীরভাবে স্মরণ করতে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত বিশ্ব মা দিবসের গুরুত্ব রয়েছে। এ দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ইস্পাহানী বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রীরা আজ এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান ‘মাতৃ পাদসেবা’র আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ছাত্রীবৃন্দ তাদের ‘মা’কে সম্মান ও সেবায় মহিমান্বিত করে তুলতে প্রয়াসী হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত প্রবীণ হিতৈষী নিবাস আন্তর্জাতিক মা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রবীণ নিবাসে বসবাসরত মায়েদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রবীণ হিতৈষী সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম আতিকুর রহমান উপস্থিত থেকে সকল বৃদ্ধ মাকে শুভেচ্ছা প্রদান করবেন।
×