ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ হাইকমিশন

মালয়েশিয়ায় দুই মাসেও মেলে না ট্রাভেল পাস

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৪ মে ২০১৭

মালয়েশিয়ায় দুই মাসেও মেলে না ট্রাভেল পাস

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মালয়েশিয়ায় দুই মাস আগে কাগজপত্র জমা দিয়েও ট্রাভেল পাস ভাগ্যে জোটেনি এক বাংলাদেশীর। রোগ বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহ ধরে মালয়েশিয়া হাইকমিশনে ধরনা দিয়েও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জীবিত দেশে ফেরা হয়নি আনু মিয়ার। মাতৃভূমি বাংলাদেশে আসা হলো না তার। অবশেষে মালয়েশিয়াতেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মালেয়শিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে ট্রাভেল পাসের জন্য ঘুরতে ঘুরতে ট্রাভেল পাস হাতে পাওয়ার আগেই শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় হাইকমিশনের কার্যালয়ে মৃত্যু হয়েছে টেকনাফ সাবরাং নোয়াপাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী অসুস্থ আনু মিয়ার। মালয়েশিয়া প্রবাসী বাহারছড়ার জাফর আলম মুঠোফোনে জানান, মালয়েশিয়া হাইকমিশনে কিছুদিন আগে আনু মিয়া সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার পর তাকে ২ মাস পরে আসতে বলেন কর্মকর্তারা। কারণ হিসেবে জানানো হয়, তথ্য যাচাই করতে নাকি তাদের ২ মাসের বেশি সময় লাগে। আনু মিয়া চার বছর আগে দালালের হাত ধরে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে অসুস্থ হওয়ায় দেশে ফিরে আসতে মালেয়শিয়ার হাইকমিশনে যোগাযোগ করেন তিনি। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কাগজপত্র জমা করে নিয়ম-কানুন মেনে দেশে ফিরে আসতে ট্রাভেল পাসের আবেদন করেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বার বার হাইকমিশনের অফিসে গিয়েও কোন কাজ হয়নি তার। অবশেষে শুক্রবার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ১০ বছর ধরে শিকলে বাঁধা জীবন সংবাদদাতা,বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ, ১৩ মে ॥ ১০ বছর ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী মজনুকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী না হলেও মাথায় আঘাত পেয়ে মস্তিষ্ক বিকৃতি হওয়ায় তার এ করুণ অবস্থা। এদিকে হতদরিদ্র বাবা-মা ঝাড়ফুঁক ছাড়া অর্থাভাবে মজনুকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে পারেনি। তারা উন্নত চিকিৎসায় সহায়তার আবেদন করেছে। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সরাতৈল গ্রামের দিনমজুর সুলতান শেখের ছেলে। জানা যায়, সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া মজনু ছোটবেলায় সারাক্ষণ হাসিখুশি দিন কাটাত। পরিবারের সবার প্রিয় ছিল সে । এক বছর বয়সে হঠাৎ তার মাথায় সামান্য একটু আঘাত লাগে। তখন দিনমজুর বাবা-মা গ্রামের কবিরাজি ওষুধ ও ঝাড়ফুঁক দিয়ে সুস্থতার আশায় ছিলেন। কিন্তু বহুদিন পেড়িয়ে গেলেও সুস্থ না হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে মজনু। বাবা সুলতান শেখ অর্থের অভাবে প্রিয় সন্তানকে আর উন্নত চিকিৎসা দিতে পারেনি। তখন থেকে বস্ত্রহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়ায়, পানিতে পড়ে থাকে, ছোট ছেলে-মেয়েদের মারধর করে এবং কুকুরসহ গরু-ছাগলের মুখে হাত দিয়ে খেলা করে। এজন্য প্রায় ১০ বছর ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে খোলা একটি ছাপড়া ঘরের মেঝেতে ময়লা ছেঁড়া কাঁথা দিয়ে রেখেছে তার পরিবার। তার কাছে কেউ যেতে চায় না। পাশ দিয়ে যাবার সময় পাগল বলে হাসি-তামাশা করে সবাই।
×