ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রিফাতের স্বপ্ন পূরণে বাধা দারিদ্র্য

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৪ মে ২০১৭

রিফাতের স্বপ্ন পূরণে বাধা দারিদ্র্য

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দরিদ্র বাবার পক্ষে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব না হলেও মায়ের ইচ্ছা আর অদম্য মনোবলের কারণে দরিদ্রতাকে জয় করে পরিবারের কাজের ফাঁকে প্রাইভেট পড়িয়ে উপার্জিত অর্থে লেখাপড়া করে এবারের এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে রূপা আক্তার। আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে রূপা জিপিএ-৫ পেয়েছে। মধ্যশিহিপাশা গ্রামের দরিদ্র শফিকুল মিয়ার কন্যা রূপা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ব্যাংকার হতে চায় কিন্তু পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে এখন তার কলেজে ভর্তি হওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রিফাত হোসেন ॥ একই বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে কালুপাড়া গ্রামের মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে রিফাত হোসেন। তার মা বুলু বেগম উপজেলা হাসপাতালের সামান্য আয়া। দরিদ্রতাকে জয় করে রিফাত অন্যের বাড়িতে প্রাইভেট পড়িয়ে উপার্জিত অর্থে লেখাপড়া করলেও কোন প্রাইভেট পড়তে পারেনি। রিফাতের স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা লাভ করে চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু তার মায়ের সামান্য আয়ে তার স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। জ্যোতীর স্বপ্ন কি পূরণ হবে! স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের শ্যামবাগাত গ্রামের হতদরিদ্র চা দোকানি কিশোর কুমার দের মেয়ে তিনবারের গোল্ডের এ+ প্রাপ্ত জ্যোতী রানী দের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। টাউন নওয়াপাড়া বাজারের পার্শ্বে সরকারী জায়গায় ছোট্ট ঝুপড়ি ঘর বেঁধে কিশোর কুমার চা-পান বিক্রি করেন। সংসার চালাতে তিনি নাজেহাল। তবুও দুই মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে চলছেন। দারিদ্র্যর নির্মমতাকে জয় করা মেধাবী জ্যোতী জানায়, ডাক্তার হতে চাই, ছিন্নমূল মানুষের সেবা করতে চাই। কিন্তু তার পিতা কিশোর দে বলেন, আর পড়াতে পারছি না, অনেক ঋণের দায়ে জর্জরিত। দু’মুঠো অন্নের সন্ধানে আমাকে সারাদিন দোকানে পড়ে থাকতে হয়। তারা খেয়ে না খেয়ে লেখাপড়া করছে। কিন্তু কি করব, ঠিকমতো ভাত যোগাড় করতে পারছি না। দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাড় করতে গিয়ে আমি এখন ঋণগ্রস্ত, নিঃস্ব। তাই সমাজের বিত্তবান, দানশীল ও শিক্ষানুরাগীরা সহায়তার হাত বাড়ালেই জ্যোতীর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা পূরণ হতে পারে।
×