ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণপরিবহনের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি সিলেটবাসী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ মে ২০১৭

গণপরিবহনের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি সিলেটবাসী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শত বছরের পুরনো সিলেট পৌরসভা ২০০২ সালে উন্নীত হয় সিটি কর্পোরেশনে। অদলবদল হয়েছে মেয়র পদেও। কিন্তু আজও গণপরিবহনের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি সিলেটবাসী। বিশাল এই নগরে গণপরিবহন না থাকায় নগরবাসীকে শুধুমাত্র রিক্সা ও সিএনজি অটো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সেখানেও স্বল্পতা। ফলে পরিবহন সঙ্কটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সিলেটের বন্দরবাজার পয়েন্ট। চার-পাঁচ বছর আগেও এই পয়েন্টে অন্তত ২০টি বাস সব সময় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকতো। এখন সেই জায়গা দখলে নিয়েছে সিএনজি অটো। বিশাল এই পয়েন্ট থেকে বিপুলসংখ্যক সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করলেও যাত্রীদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই অটোর একটি সিট পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শতশত মানুষকে। স্কুলের শিক্ষার্থী কিংবা নারী-বৃদ্ধ সবার অপেক্ষা বাড়ে কিন্তু মেলে না একটি সিট। যাত্রীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব কোন সিএনজি নাই। ১৫ টাকার জায়গা ২০ টাকা চাচ্ছে তারপরেও সিট নাই। শহরে বিআরটিসি বাস হলে এগুলার সমাধান হয়ে যাবে।’ ২০০৭ সালে ৩৫টি বাস নিয়ে নগরীতে টাউন বাসের যাত্রা শুরু হয়। কমে আসে পরিবহন সঙ্কট। কিন্তু নানা কারণে এই সেবা প্রায় বন্ধের পথে। বর্তমানে মাত্র ৬/৭ টি বাস চলে গোটা শহরে। জেলা টাউন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এক গাড়ির সঙ্গে তিনটা সিএনজি আসে। ওরা ৫ জন যাত্রী নিয়ে চলে যায়। আমাদের ২০ জন যাত্রী নিতে হবে। না হলে আমাদের পোষাবে না।’ নগর কর্তৃপক্ষের দাবি, গণপরিবহন তাদের আওতায় নয়। আর বিআরটিএ বলছে, শহরে নতুন করে বাস নামাতে মালিকদের বলা হলেও সাড়া মিলছে না। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, গণপরিবহনের যেহেতু প্রাইভেট সেক্টরের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা সেটা করব। বিআরটিএর সহকারী পরিচালক বলেন, মালিক সমিতি বলছে তারা এটা বিবেচনায় রাখছে। বেশি করে টাউন সার্ভিস বৃদ্ধি করতে পারে। একদিকে পরিবহন সঙ্কট তার ওপর ভাড়া নিয়ে চালকদের দৌরাত্ম্য। সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন রিক্সা ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও মানছে না চালকরা। ফলে ভাড়া নিয়ে যাত্রী-চালকদের মাঝে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা লেগেই আছে।
×