স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে দিনকে দিন পরিষ্কার পরিছন্ন রাখাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। একদিকে সরু রাস্তা আর অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অন্যদিকে প্রয়োজনীয় জনবলের সঙ্কটে হিমশিম খাচ্ছে ওয়াসা। তারপরও ওয়াসা বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমেই এবারের বর্ষায় জলজট নিরসনে কাজ করবে তারা।
বাংলামটর থেকে শাহবাগ হয়ে পুরনো ঢাকার দিকে চলে যাওয়া রাস্তার ড্রেনটি প্রয়োজনের চেয়ে সরু। কোন কোন জায়গায় এর অস্তিত্বই চোখে পড়ে না। বৃষ্টি হলেই তাই এখানে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। আসছে বর্ষার প্রস্তুতি হিসেবে নগর কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ করছে। ঢাকা দক্ষিণের পাড়া মহল্লাতে অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে অনেক জায়গায় ড্রেনগুলো অস্তিত্ব হারিয়েছে। নতুন করে নির্মাণ ও সংস্কারের বাইরে মূলত পানি প্রবাহ বজায় রাখার জন্য বর্জ্য পরিষ্কার করার দিকে নজর রাখে কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ ওয়াসা যথাসময়ে বর্জ্য না সরানোই সমস্যা থেকে যায় অনেক জায়গায়। নগরবাসীর একজন বলেন, ‘মেয়র আসে, মেয়র চলে যায়। কিন্তু সমস্যা থেকেই যায়।’
ঢাকা ওয়াসার পরিচালনা পরিষদ সদস্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘ময়লা কিন্তু আমার ইঞ্জিনিয়ার উঠাতে পারবে না। এটা করতে হবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিয়ে। তাই আমরা চাই প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেয়া হোক।’
নগর কর্তৃপক্ষের দাবি, ১১৭ কিলোমিটার অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে জরুরী সেবা দিতে কর্মীসংখ্যা বাড়ানো এবং ওয়াসাকে তথ্য জানাতে ওয়াকিটকি দেয়া হয়েছে। ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোঃ বিলাল বলেন, ‘ওয়াসাকে আমরা অনুরোধ করছি তারা যেন জরুরী টিমের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে কাজ করে।’
ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ. খান বলেন, ‘আমরা সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ করেছি যে আমাদের ৩৬০ কি. মি. পাইপ লাইন আমরা পরিষ্কার করেছি বা করব। তারাও যেন তাদের ২ হাজার কি. মি. পাইপ লাইনটাকে পরিষ্কার করে।’
ড্রেন সচল রাখতে বাসাবাড়ি ও নির্মাণ সামগ্রীর বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলার অনুরোধ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। ওয়াসা জানায়, পাড়া-মহল্লার পানি দ্রুত সরে না গেলে শক্তিশালী পাম্প বসিয়েও অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয় না।