ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে সিএনজি চালকরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ মে ২০১৭

চট্টগ্রামে ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে  সিএনজি চালকরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চট্টগ্রামে ইচ্ছে মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে সিএনজি অটোরিক্স চালকরা। মিটারে চলার কথা থাকলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে চালক ও মালিকদের সংঘবদ্ধ চক্র নির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। চক্রটির বেপরোয়া আচরণের কারণে অসহায় যাত্রীরা। নগরীর টাইগার পাস থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্ব বহদ্দারহাটের ভাড়া মিটারে গেলে উঠবে বড় জোর ৬৫ টাকা। কিন্তু সিএনজি অটোরিক্স চালকের দাবি ১২০টা টাকা। একই জায়গা থেকে কাস্টমস হাউসের ভাড়া ৪০ টাকা হলেও চান ৮০ টাকা। মিটারে না চলায় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের কাছ থেকে মনগড়া ভাড়া আদায় করছেন চালকরা। যাত্রীরা জানান, ‘১০০ থেকে ১২০ টাকার ভাড়া ২০০ এমনকি ৩০০ টাকা পর্যন্ত চেয়ে বসে থাকেন চালকরা। মিটারে যেতে বললে তারা বলে মিটারে নাকি তাদের পুষায় না। চালকদের মিটার আর অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যুক্তির কোন অভাব নেই। তারা বলেন, গ্যাস নিতে গেলেও আমাদের দুই তিন ঘণ্টা চলে যায়। দূরের যাত্রীরা মিটারে যেতে চায় না। তারা বলে মিটারে গেলে অনেক বেশি ভাড়া আসছে।’ প্রশাসন এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১২ বারের বেশি সিএনজি অটোরিক্সায় মিটার লাগনোর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কিছুদিন মিটারে চললেও তদারকির অভাবে আবারও চলে আগের নিয়মে। আর অতিরিক্ত ভাড়া ঠেকানোর বিষয়ে বারবার একই আশ্বাস ট্রাফিক বিভাগের। সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘যে সমস্ত সিএনজি মিটারের বাইরে চলছে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে কঠোর আছি।’ নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় চলছে এই ভাড়া নৈরাজ্য। এ কারণে যাত্রী হয়রানি ব্যাপক হারে বাড়ছে বলে জানায় ক্যাব। নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা যদি আইন করি যে, মিটার ছাড়া চলবে না তাহলে মিটার ছাড়া চলবে না। মিটার ছাড়া চললে তার বিরুদ্ধে কেস করা হোক, তাকে জেলে নেয়া হোক। সেটা তো হচ্ছে না।’ কনজ্যুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) -এর সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘সিএনজি ভাড়ার যে নৈরাজ্য এটা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগের কোন ধরনের তদারকি আছে বলে আমাদের জানা নেই।’ নগরীতে বৈধ সিএনজি অটোরিক্সা আছে ১৩ হাজার। এর বাইরে অবৈধভাবে চলে আরও সাত হাজারের মতো।
×