ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিসবাহর হাফ সেঞ্চুরি, আজহারের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৩ মে ২০১৭

মিসবাহর হাফ সেঞ্চুরি, আজহারের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডমিনিকায় ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ উল হক (৫৯)। বিদায়ের মঞ্চে তার সঙ্গী ইউনুস খান অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ১৮ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। তবে মিসবাহর কাছ থেকে নেতৃত্বের ব্যাটন যার হাতে উঠতে যাচ্ছে সেই আজহার আলি (১২৭) হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। হাফ সেঞ্চুরি এসেছে রঙিন পোশাকের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৫১) ও ইনফর্ম বাবর আজমের (৫৫) ব্যাট থেকে। অলআউট হওয়ার আগে ৩৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে সফরকারী পাকিস্তান। জবাবে দ্বিতীয়দিন শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৪ রান। এই ম্যাচের ওপরই ১-১এ চলমান সিরিজের ভাগ্য নির্ভর করছে। তার ওপর দুই গ্রেট মিসবাহ-ইনুসের বিদায়। সবমিলিয়ে ডমিনিকা টেস্ট ঘিরে দু’দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের কমতি নেই। ২ উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে শুরু করা পাকিস্তান বাকি ৮ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয়দিনে আরও ২০৭ রান যোগ করে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হন ইউনুস (১৮), রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেনি তিনি। ব্রিজটাউনে আগের টেস্টেও সেঞ্চুরি পাওয়া আজহারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মিসবাহ। নিজের প্রথম ৫১ বলে ১ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ১৪৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ৫৯ রানের ইনিংসটি ছিল তার ক্যারিয়ারেরই প্রতিচ্ছবি। উইকেটে থিতু হওয়ার পর রান করার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। ভাল বল সমীহ করেছেন, আবার বাজে বলের ওপর চড়াও হয়েছেন। তবে আজহার খেলেছেন পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী। লাঞ্চের আগেই ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ওপেনার চেইসকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন। ৩৩৪ বলে ১২৭ করতে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকান ৮টি চার ও দুটি ছক্কা। উইকেটের সাহায্য পাওয়া চেইসের ঘূর্ণিবল ঠেকানো কঠিন ছিল না, কঠিন ছিল তার বিপক্ষে রান করা। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরে বল ফেলে স্টাম্পে টেনে আনা এই স্পিনারের বিপক্ষে রান করতে রিভার্স সুইপ, সুইপের ওপর বেশি নির্ভর করতে হচ্ছিল অতিথি ব্যাটসম্যানদের। চেইসের ওপর চড়াও হতে গিয়েই ক্যাচ তুলে দেন টেস্ট স্পেশালিস্ট শফিক (১৭)। তবে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে অনেকটাই সফল সরফরাজ। ৭৩ বলে ৪ চারের সহায্যে ৫১ রানের কার্যকর ইনিংস উপহার দেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পর লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে ড্রাইভ করতে গিয়ে সিøপে ক্যাচ দিলে শেষ হয় সরফরাজের ইনিংস। স্বাগতিকদের হয়ে সফল অফস্পিনার চেইস ৪ উইকেট নেন ১০৩ রানের বিনিময়ে। পেসার হোল্ডার ৭১ রানে ৩ উইকেট। লেগস্পিনার বিশুর শিকার ২। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে পাকিস্তান কখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জেতেনি। ডমিনিকায় ফয়সালার এ লড়াইয়ে কি হয়, সেটিই দেখার অপেক্ষা। স্কোর ॥ পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ৩৭৬/১০ (১৪৬.৩ ওভার; আজহার ১২৭, মাসুদ ৯, বাবর ৫৫, ইউনুস ১৮, মিসবাহ ৫৯, শফিক ১৭, সরফরাজ ৫১, আমির ৭, ইয়াসির ০, আব্বাস ৪, হাসান ৮*; গ্যাব্রিয়েল ০/৬৭, জোসেফ ১/৬৪, চেইস ৪/১০৩, হোল্ডার ৩/৭১, বিশু ২/৬১)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ১৪/০ (১১ ওভার; ব্রেথওয়েট ৫*, কাইরন পাওয়েল ৯*; আমির ০/৫, আব্বাস ০/২, ইয়াসির ০/৪, হাসান ০/৩)। ** দ্বিতীয়দিন শেষে
×