ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের রায়

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৩ মে ২০১৭

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। পৃথক তিনটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এদিকে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ এসেছে এ সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ে। বৃহস্পতিবার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করে হাইকোর্ট। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশের সব সরকারী-বেসরকারী কলেজে জারি করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন দায়ের করেছেন সুপ্রীমকোর্টের একজন আইনজীবী। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট অবৈধ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ২০০৯ সালের এ সংক্রান্ত আইনের ১১টি ধারা ও উপধারা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত পৃথক তিন ব্যক্তির দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত তিনটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে রিটকারী ওই তিন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক দেয়া সাজা বাতিল করে তাদের একজনের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার ১০ লাখ টাকা রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হাসান এমএস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসান স্বাক্ষরিত ১০ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ সেল গঠন করতে বলা হয়েছে। গঠিত ওই সেলের প্রধান হিসেবে রেজিস্ট্রার জেনারেল নিজেও থাকতে পারেন। যদি তিনি না থাকেন তাহলে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে ওই সেলের প্রধান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মনিটরিং সেলে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব অথবা তাদের দুজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওই দুজন প্রতিনিধি অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার নিচে হবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মিলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা হয়। ঘটনার দিনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ওই বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। চলতি বছরের ২১ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের পর সাত মাসেও কোন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আইনানুযায়ী মামলাটি ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায় আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী কুমার দেবলু দে। এইচএসসি ভর্তি নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে রিট উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশের সব সরকারী-বেসরকারী কলেজে জারি করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক রিট দায়ের করা হয়েছে। যদিও ইতোমধ্যে কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
×