ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলা ॥ আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার ও ছেলে সাফাতের ব্যাংক হিসাব তলব

সাফাত ও সাকিফ রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৩ মে ২০১৭

সাফাত ও সাকিফ রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি গ্রেফতারকৃত সাফাত আহমেদ ও তার সহযোগী সাদমান সাকিফের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সাফাত আহমেদকে ৬ ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। এর আগে দুপুর বারোটার দিকে গ্রেফতারকৃত সাফাত ও সাদমানকে নিয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে সাফাত আহমেদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত ও পিকাসো রেস্তরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমানকে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের লন্ডনপ্রাবাসীর এক বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ঢাকায় নিয়ে আসার পর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। দুপুরের দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় জানান, বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। কৃষ্ণপদ রায় জানান, আমরা শুক্রবার ভোরে আসামিদের পেয়েছি। ফলে বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। আমরা ১০ দিনের রিমান্ডে এনে তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করব। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের অভিযোগ সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি জানান, মামলাটি নিয়ে দেশবাসী উন্মুখ হয়েছিল। মামলাটি তদন্তে ডিএমপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে। মামলাটি ডিএমপির ওমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ছাড়াও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও গুলশান পুলিশ ছায়া তদন্ত করেছে। পাশাপাশি তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে আইজিপি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বিশেষ টিম সমন্বিত করেছেন। এরই ফলশ্রুতিতে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই রাতে ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের ঘটনায় কোন ভিডিও হয়েছিল কিনা। ভিডিও হলেও সেটি এখনও আসামিদের সংরক্ষণে আছে কিনা। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণপদ রায় জানান, যদি কেউ ভিডিও করে থাকে সেটা অন্য কেউ ছেড়ে দেয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। সেগুলো মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। যে অস্ত্রটি ব্যবহার করে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে সেটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তিনি জানান, মামলার তদন্তে যদি আমরা এজাহারবহির্ভূত কারও সংশ্লিষ্টতা পাই তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। বাদীর আগ্রহের কারণে মামলার তদন্তভার ওমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারে দেয়া হয়েছে। তবে মামলাটি অতি সংবেদনশীল হওয়ায় তদন্ত কমিটির কাজের সুবিধার্থে আরেকটি সহায়ক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। পুলিশের দুটি কমিটি ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, ধর্ষণের মামলাটির তদন্তে সহায়তা দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির একটিতে আছেন, যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়ের নেতৃত্বে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম, পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মুশতাক আহমেদ এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন। এদিকে এই ধর্ষণের মামলা নিতে বনানী থানায় কোন গাফিলতি হয়েছে কিনা; সেটি তদন্তে করছে আরেকটি কমিটি। এই কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান, কৃষ্ণপদ রায় এবং মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। কৃষ্ণপদ রায় জানান, মামলার বাকি আসামিরা এখনও পলাতক। অভিযান চলমান আছে। তাদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে গ্রেফতারের অভিযানটা শেষ হবে। পাশাপাশি আমাদের তদন্ত কার্যক্রম সবিশেষ গুরুত্বসহকারে এগিয়ে যাবে। তদন্তের পারিপার্শ্বিক যে তথ্যগুলো আছে, যেসব ফিজিক্যাল ইভিডেন্স আছে। ক্ষেত্রবিশেষে যে ইভিডেন্সেগুলোর ফরেনসিক এবং ডিজিটাল ফরেনসিক এবং মেডিক্যাল ফরেনসিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে সে তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করছি। সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু ও অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদার। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার এর বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে সাফাতকে ছয়দিন ও সাদমানকে পাঁচ দিনের হেফাজতের আদেশ দেন। এছাড়া এই মামলায় সাফাতের আরেক বন্ধু নাঈম আশরাফ (প্রকৃত নাম হাসান মোঃ হালিম), সাফাতের দেহরক্ষী ও গাড়িচালকও আসামি এখন পলাতক রয়েছে। মামলার এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন সাফাত ও নাঈম। সাদমানসহ অন্য তিনজন ছিলেন সহযোগী। বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে ওই দুই তরুণী জবানবন্দী দেন। তাদের মধ্যে একজন এর আগে বলেছিলেন, সাদমান তাদের বন্ধু। তাদের দুই বান্ধবীকে সে-ই পীড়াপীড়ি করে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়েছিল। ঘটনার মাসখানেক পর গত ৬ মে এক তরুণী বনানী থানায় মামলা করার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সাফাত গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের সমালোচনাও ওঠে। যেভাবে গ্রেফতার ধনীর দুলাল সাফাত ও সাদমান বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন পাঠানতুলা এলাকা থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-গোপনীয়) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে পুলিশ সদর দফতরকে নির্দেশ দেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। এই নির্দেশের পর পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার একটি দল সিলেটে যায়। তারা খবর পান, কয়েক সঙ্গীসহ সাফাত গত ৮ মে দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ঠাকুরবাড়ি এলাকার রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে গিয়েছিল। ৯ মে খবর বের হয়। রিসোর্টের এক কর্মকর্তা জানান, একটি প্রাইভেটকারে ওই দিন পাঁচজন তাদের রিসোর্টে যান। তাদের একজন ছিলেন সাফাত। রিসোর্টে উঠতে না পেরে তারা চলে যান। পরে পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার বিশেষ দলটি সিলেটে এসে সিলেট মহানগর গোয়েন্দাদের সাহায্য নেয়। সাফাত ও সাদমান তাদের মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইস বন্ধ রেখে লুকিয়েছিলেন। তবে সিলেটে থাকা সাফাতের এক মামার মোবাইলে দু’জনের ফোনালাপের প্রমাণ পাওয়া যায়। মামাকে ধরার পর সাফাত ও সাদমানের অবস্থান জানা যায়। সাফাতের মামা পুলিশের কাছে দাবি করেন, প্রথমে সাহায্য করতে চাননি তিনি। অনেক পীড়াপীড়ির পর রাজি হন। নগরীর পাঠানটুলার জালালাবাদ এলাকায় তার লন্ডনপ্রাবাসী এক বন্ধুর বাড়ি। বাড়িটিতে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকেন। ওই বাড়িতে সাফাত ও সাদমানের থাকার ব্যবস্থা করেন। এর পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ জালালাবাদের ওই বাড়ি থেকেই ধর্ষণ মামলার মূল হোতা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত ও তার পিকাসো রেস্তরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। রাতেই তারা ঢাকা পৌঁছে। পুলিশ জানায়, সাফাতের পারিবারিক বাড়ি সিলেটে। সিলেটে এসে সাফাত তার এক মামার সাহায্য চান। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার ও ছেলের ব্যাংক হিসাব তলব ॥ রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে সাফাত আহমেদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পেরেছি যে, বহুল আলোচিত ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা দিতে বিপুল অর্থ খরচের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আমরা এখন তদন্ত করে দেখছি। এই অর্থের উৎস ডার্টি মানি কিনা। এ ছাড়া তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ‘অস্বচ্ছ’ কিনা। তাও খতিয়ে দেখছি। বৃহস্পতিবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে দিলদার ও সাফাত আহমেদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই দুজনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপন জুয়েলার্সেরও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেল নির্দেশেই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর বহুল আলোচিত আপন জুয়েলার্স, এর মালিক দিলদার আহমেদ ও সাফাত আহমেদের সার্বিক ব্যবসায়িক লেনদেনের তদন্ত শুরু করেছে বলে শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। ধর্ষিত দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর পরনের কাপড়সহ আলামত ॥ রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাদীসহ দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর পরনের কাপড়সহ আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আলামত পরীক্ষার জন্য বনানী থানার পরিদর্শক আব্দুল মতিনের করা আবেদনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন। আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোঃ মান্নান বলেন, মামলা দায়েরের সময় ধর্ষণের আলামত হিসেবে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করা হয়েছে। তাতে কোন ধরনের পুরুষের বীর্য আছে কিনা তার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। গত ৬ মে দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়েছে, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে। মামলার পর বনানী থানার পরিদর্শক মতিন এর তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আদালতে আবেদন করলেও পরে তদন্তকারী বদলানো হয়। এখন তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। পরিদর্শক মতিন বলেন, হোটেল রেইনট্রি পরিদর্শন করে কয়েকজনের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন তারা। ঘটনার ৩৭ দিন পর মামলা হওয়ায় অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে মামলার পাঁচ আসামির কাউকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ সোহেল মাহমুদ জানান, ঘটনাটি ঘটেছে এক মাস আগে। এতদিন পর এর তথ্য-প্রমাণ পাওয়া একটু কঠিন। তারপরও ঘটনার সময় ভিকটিমদের পরিহিত জামা-কাপড় যদি না ধুয়ে থাকে। তাহলে সেটা পরীক্ষা করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে। কিন্তু ধুয়ে ফেললে সেটা একটু কঠিন হবে। তারপরও তাদের মাইক্রোবায়োলজি, রেডিওলজি ও ডিএনএ নমুনা টেস্ট করতে দেয়া হয়েছে। সেটার রেজাল্ট পেলে বলা যাবে। সেটা পেতে আরও সময় লাগবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের (অবসরপ্রাপ্ত) সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুজ্জামান চৌধুরী জানান, এক মাসের অধিক পুরনো ধর্ষণ ঘটনায় ধর্ষক চিহ্নিত করা সম্ভব কিনা, জানতে চাইলে তিনি সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানান। ঘটনার পরপর পরীক্ষা করা হলে জোরপূর্বক ধর্ষণের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তবে সোয়াব টেস্টে অনেক সময় ধর্ষণকারীর বীর্যের নমুনা পাওয়া যেতে পারে। তিনি জানান, বিলম্বের কারণে ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষকের অপরাধ নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত না হলেও পুলিশের তদন্ত, পারিপার্শ্বিক প্রমাণাদি, সর্বোপরি ভিকটিমদের জবানবন্দীর ওপর নির্ভর করে আদালত অপরাধীকে শাস্তি দিতে পারে।
×