ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অপারেশন সান ডেভিল

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৩ মে ২০১৭

অপারেশন সান ডেভিল

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিভৃত ও প্রায় জনবিচ্ছিন্ন একটি গ্রামের অদূরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গীরা। অপেক্ষাকৃত নির্জন এলাকায় টিনের ঘর তুলে সেখানেই জঙ্গী আস্তানা গড়ে তুলেছিল তারা। এ জঙ্গী আস্তানা ঘিরে অভিযানের প্রস্তুতির মধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছে এক পরিবারের চারজনসহ পাঁচ দুর্ধর্ষ জঙ্গী। এদের মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছে। এর আগে তাদের হামলায় নিহত হয়েছেন অভিযান ‘সান ডেভিল’-এ দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিন। বৃহস্পতিবার অভিযানের তিন ঘণ্টার মাথায় এক নারী জঙ্গী দুই শিশুকে নিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দফায় অভিযান ‘সান ডেভিল’ চালিয়ে আত্মঘাতী ৫ জঙ্গীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলোÑ জঙ্গী আস্তানা খ্যাত ওই বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন, তার স্ত্রী বেলী বেগম, ছেলে আলামিন, মেয়ে কারিমা ও বহিরাগত আশরাফুল। আশরাফুলের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবীপুর গ্রামে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সে ছিল আইটি বিশেষজ্ঞ। তারা সবাই জেএমবি জঙ্গী এবং আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে অপারেশন সান ডেভিল দল জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১১টি শক্তিশালী বোমা, পিস্তল, ম্যাগজিন, গুলি গানপাওডার ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। ঢাকা থেকে আসা বোমা নিষ্ক্রিয় দল একসঙ্গে ১১টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে। গোদাগাড়ী থানার ওসি হিফজুর আলম মুন্সি জানান, শুক্রবার দ্বিতীয় দিন বেলা পৌনে ৯টায় ওই জঙ্গী আস্তানায় অভিযান শুরু করা হয়। অপারেশন ‘সান ডেভিল’ শুরু হওয়ার পরে প্রথমে নিশ্চিত হওয়া যায় ওই বাড়িতে আর কোন জঙ্গী নেই। এরপরে সেখান থেকে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করা হয়। সবশেষে জঙ্গীদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি ভটভটিতে করে লাশগুলো রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। গোদাগাড়ী থানার ওসি হিফজুল আলম মুন্সি জানান, বোমা আর পিস্তল ছাড়াও দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন পাওয়া গেছে বাসার ভেতরে। সেখান থেকে গানপাউডার, বোমা বাঁধার বেল্ট (বোমাভেস্ট) ও পুলিশের পোশাকের মতো কিছু পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। বেলা পৌনে একটার দিকে সবকিছু উদ্ধারের পর অপারেশন সমাপ্ত ঘোষণা করেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিসারুল আরিফ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরিবার লাশ নেবে না। এরা বড় ধরনের জঙ্গী। নিহত জঙ্গী আশরাফুল ছিল আইটি বিশেষজ্ঞ। পরে সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা পুরো বাড়ি তল্লাশি করে সেটি সিলগালা করে দেয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর মাছমারা বেনীপুর গ্রামে এ ঘটনায় বোমার স্পিøন্টার ও জঙ্গীদের হামলায় সাত পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জানিয়েছেন। অভিযানের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে প্রথম দফার অভিযান স্থগিত করে সাংবাদিকের ব্রিফ করেন তিনি। তিনি বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে হ্যান্ড মাইকে তাদের বের হয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু তারা কোন সাড়া দেয়নি। রাত চারটার দিকে তারা আস্তানা থেকে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। এরপর সকাল ছয়টার দিকে দ্বিতীয় দফায় তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। নিসারুল আরিফ জানান, ওইদিন সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযানের প্রস্তুতি নেয় রাজশাহী জেলা পুলিশ। এ সময় ওই বাড়িতে দমকল কর্মীরা পানি মেরে মাটির দেয়াল ফুটো করার চেষ্টা করে। এ সময় দুই শিশু ও তিন নারীসহ আটজন বেরিয়ে আসে। তাদের মধ্যে দুই নারীসহ পাঁচজন বাইরে থাকা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা ছাড়াও দুটি আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচ জঙ্গী নিহত হয়। আহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আবদুল মতিন পরে হাসপাতালে মারা যান। আহত সাত পুলিশের মধ্যে এসআই উৎপল ও কনস্টেবল তাজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। অপর পাঁচজনকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, হামলার সময় জঙ্গী সাজ্জাদের আরেক মেয়ে সুমাইয়া তার দুই শিশুপুত্র নিয়ে পাশে বসে পড়ে। পরে সে তার আট বছরের ছেলে জুবায়ের কাছে তার তিন মাসের মেয়ে আফিয়াকে দিয়ে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সুমাইয়া বাড়ির বাইরে অন্যদের লাশের পাশে প্রায় একঘণ্টা বসে থাকার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জানান, কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিষ্ক্রিয় টিম আসতে দেরি হয়েছে। রাতের অন্ধকার নেমে যাওয়ার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়। এরপর শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে ফের অভিযান চালিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজশাহী শহর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর। সেখান থেকে ডানের সরু রাস্তায় আরও ৫ কিলোমিটার দূরে মাছমারা বেনীপুর গ্রাম। সে গ্রামের বিচ্ছিন্ন ধানক্ষেতের মধ্যে দুই মাস আগে বাঁশ আর টিন দিয়ে সেখানে ওই ঘর তোলে সাজ্জাদ হোসেন। বাড়ির পূর্বদিকে মাটির দেয়াল হলেও অপর তিন দিক ও ছাদেও রয়েছে টিনের বেষ্টনী। ওই ঘরে স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করত জঙ্গী সাজ্জাদ। তারা এলাকাবাসীর সঙ্গে মেলামেশা করত না। দিনের বেলা কাউকে দেখা যেত না। নারীরা রাতের বেলায় কলে পানি নিতে আসত। ওই বাড়িতে দুর্ধর্ষ জঙ্গীদের বসবাসের খবরে পুরো এলাকাবাসী চরম শঙ্কিত হয়ে পড়েন। জানা গেছে, আত্মঘাতী সাজ্জাদ একসময় জামায়াতের সঙ্গে জড়িত ছিল। সাজ্জাদ গ্রামে গ্রামে সাইকেলে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করত। এর আড়ালে জঙ্গী সংগঠনের কর্মকা- চালাত। তবে সে নিজে তবলীগ-জামাতের সঙ্গে জড়িত বলে এলাকায় প্রচার করত। তার দুই ছেলের মধ্যে আলামিন বাড়িতে থাকলেও ছোট ছেলে শোয়েব চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। আলামিনও মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে। তবে মাঝেমধ্যে সে এলাকায় এসে কৃষিকাজ করত। ধানক্ষেতের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ওই বাড়ি স্থানীয়দের কাছে ‘আলামিনের বাড়ি’ হিসেবেই পরিচিত বলে জানান গোদাগাড়ী থানার ওসি হিফজুল আলম মুন্সি। জানা গেছে, জঙ্গী আস্তানা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মাছমারা গ্রামের লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তির মেয়ে বেলীর সঙ্গে সাজ্জাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাজ্জাদ তার শ্বশুরবাড়ির পাশেই একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকত। মাস চারেক আগে শ্বশুরের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। এ দ্বন্দ্বের পর সাজ্জাদ পরিবার নিয়ে গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি মহল্লায় কিছুদিন ভাড়া থাকে। ছেলেকে ভাড়া বাড়িতে থাকতে দেখে তার মা মারজাহান বেনীপুরে মাঠের ভেতর তাকে ৫ কাঠা জমি দেন বাড়ি করতে। মাস দুয়েক আগে বাড়িটির নির্মাণ শেষ হয়। চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে তৈরি করা চার রুমবিশিষ্ট ওই বাড়িতে সাজ্জাদ পরিবার নিয়ে ওঠে। জঙ্গী সাজ্জাদের মা মারজাহান বলেন, সাজ্জাদ আলীর স্ত্রী ও মেয়েরা খুব পর্দাশীল ছিল। তাই নিজের ভাই মুক্তারের বাড়িতেও তারা খুব একটা যেত না। বছরে দু’একবার যেত। ছেলের পরিবারটির সঙ্গে তার তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না। এ জন্য তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তিনি। স্থানীয় মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আজম তৌহিদ জানান, সাজ্জাদের মেয়ে সুমাইয়ার স্বামী জহুরুল জঙ্গী সংগঠন জেএমবির কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে চার মাস ধরে কারাগারে আছেন। জহুরুলের বাড়ি গোদাগাড়ীর পদ্মানদীর চরাঞ্চল দিয়ার মানিকচরে। একসময় এলাকার মানুষ তাকে ‘পল্লী চিকিৎসক’ হিসেবে চিনলেও পরে সে জেএমবিতে জড়ান বলে চেয়ারম্যান আজমের ভাষ্য। তিনি বলেন, সাজ্জাদ আগে মাছমারা তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। চার মাস আগে সে গোদাগাড়ী সদরের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে দুই মাস ছিলেন। সেখান থেকে তার নিজ গ্রামে ওই মাঠের মধ্যে ঘর করে সেখানে বসবাস শুরু করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জঙ্গী আস্তানায় নিহত সাজ্জাদ জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিল। তার জামাই জহুরুলের হাত ধরে সে জেএমবিতে প্রবেশ করে। সাইকেলে করে ফেরিওয়ালা সেজে গোদাগাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় কাপড় বিক্রির আড়ালে জঙ্গী প্রচার চালাত সে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহজেই নজরে আসবে না এটা ভেবেই নিভৃত গ্রামে গড়ে তোলা হয় জঙ্গী আস্তানা। নিজের পরিবারসহ বিভিন্ন এলাকার জেএমবি সদস্যরা তার বাড়িতেই আশ্রয় নিত। বর্তমান সময়ে জঙ্গীবিরোধী অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়া জেএমবি সদস্যরা মাঝেমধ্যে এখানেই এসে আশ্রয় নিত বলেও জানা যায়। ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুল বারি বলেন, সাজ্জাদ জামায়াতের কর্মী ছিল। কিন্তু বছর দুয়েক আগ থেকে তার চলাফেরা সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। তার বাড়িতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসত। কারা তারা? এমন প্রশ্নে কখনও জামাইয়ের আত্মীয় আবার কখনও ঢাকা থেকে তার আত্মীয় বলে পরিচয় দিত। আবদুল বারি জানান, সে সাইকেলে করে ফেরি করে ছিট কাপড় বিক্রি করত। কিন্ত এটার ছদ্মাবরণে সে জঙ্গী কার্যক্রম চালাত। তার জামাই জহুরুল জেএমবির অনেক বড় নেতা। তার এক ভাই মনিরুলও দুর্ধর্ষ জঙ্গী। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছিল। পরে ১২ বছরের জেল খেটে দুই বছর আগে এলাকায় ফিরে মুরগির খামার গড়েছে। বুধবার ওই এলাকায় পুলিশের আনাগোনার পর থেকে সে লাপাত্তা রয়েছে। জঙ্গী হামলায় মারা যান দমকল বাহিনীর কর্মী মতিন পুলিশ তখনও জানতে পারেনি দুর্গম এলাকায় টিনের ঘরের মধ্যে কতটা শক্তিশালী আত্মঘাতী জঙ্গী আস্তানা রয়েছে। তবে ঘর থেকে একযোগে বেরিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পর পুলিশ টের পায় এ ঘরে শক্তিশালী জঙ্গীদের বাস। পরে পুলিশ সাবধানী হলেও তার আগেই জঙ্গী হামলায় নিহত হন গোদাগাড়ী দমকল বিভাগের কর্মী আবদুল মতিন। রাজশাহী দমকল বিভাগ সদর দফতরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সহকর্মী আবদুল মতিন কিভাবে নিহত হয়েছেন তার বর্ণনা। তিনি জানান, মাছমারা বেনীপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে জঙ্গী সাজ্জাদ হোসেনের বাড়িটির চারদিক টিনের তৈরি হলেও পেছনের দেয়ালটি ছিল মাটির। বাড়ির মধ্যে কতজন জঙ্গী আছে তা বুঝতে পারছিল না পুলিশ। সিদ্ধান্ত হয় দমকল বিভাগের কর্মীদের মাধ্যমে মাটির দেয়ালটিতে যদি পানি মেরে ফুটো করা যায়। তাহলে বাড়ির ভেতরে সবার অবস্থান বোঝা যাবে। দমকল বিভাগকে সংবাদ দেয়া হয়। যথারীতি দমকল বিভাগ দ্রুত বেগে পানি ছিটিয়ে পেছনের দেয়ালটি ফুটো করার চেষ্টা করছিল। ওইসময় বাড়ি থেকে একযোগে বেরিয়ে আসে পাঁচ জঙ্গী। পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওইসময় নিরাপদ স্থানে পালাতে গিয়ে দমকল বিভাগের কর্মী আবদুল মতিন পা পিছলে পড়ে যান। সে সময় জঙ্গীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আবদুল মতিনকে গুরুতর জখম করে। পরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মীরা গুরুতর আহত আবদুল মতিনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
×