ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ২৬ বিরল প্রজাতির কচ্ছপের জন্ম

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৩ মে ২০১৭

বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে  প্রথমবারের মতো ২৬ বিরল প্রজাতির কচ্ছপের জন্ম

আহসান হাবিব হাসান, সুন্দরবনের করমজল থেকে ফিরে ॥ সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ডিম থেকে ফুটেছে ২৬ বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের বাচ্চা। শুক্রবার সকালে এ বাচ্চাগুলো করমজলের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের চৌবাচ্চায় অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগে একটি মাদি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের পাড়া ডিম থেকে গত ৮ মে থেকে পর পর তিনদিন অর্থাৎ ১০ মে পর্যন্ত এ বাচ্চাগুলো ফোটে। এরপর বাচ্চাগুলোকে নিবিড় পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়। বিষয়টি শুক্রবার দুপুরে করমজল কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রব এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। মোঃ আব্দুর রব জানান ‘গত ৩ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ৩১টি ডিম পাড়ে বিরল প্রজাতির একটি ‘বাটাগুর বাসকা’ মাদি কচ্ছপ। দুই মাসের ব্যবধানে ওই ডিমের মধ্যে ২৬টি ডিম থেকে গত ৮ মে ৪টি, ৯ মে ১৯টি এবং ১০ মে ৩টি কচ্ছপের বাচ্চা ফোটে। বাকি ৫টি ডিমের মধ্যে ৩টি নষ্ট হয়ে গেছে এবং ২টি ডিম থেকে ২-১ দিনের মধ্যে আরও ২টি কচ্ছপের বাচ্চা জন্মাবার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম জানান, ‘বাংলাদেশ বন বিভাগ, আমেরিকার টারটেল সারভাইভাল এলায়েন্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু ও প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির ও হরিণের পাশাপাশি ২০১৪ সালে গড়ে তোলা হয় বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র। এ প্রজনন কেন্দ্রে সদ্য জন্ম নেয়া ২৬টি বাচ্চা ছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ১২৩টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ গবেষণার জন্য রয়েছে। এক সময়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ লবণাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত ‘বাটাগুর বাসকা’ বা বড় কাটালি কচ্ছপ। এখন সময়ের বিবর্তনে ও মানব কর্তৃক সৃষ্ট কর্মকা-ে এই প্রজাতির কচ্ছপ প্রায় বিলুপ্তের পথে। এই কচ্ছপগুলো সারাবিশ্বে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। খাদ্য হিসেবেও এর রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। প্রাপ্ত বয়সে একটি কচ্ছপ ২৫-৩০ কেজি ওজনের হয়।
×