ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আহমদিয়া ইমামের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৩ মে ২০১৭

আহমদিয়া ইমামের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৮ মে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার খানপুর গাংপাড়া গ্রামের আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একজন ইমামকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। সেই সঙ্গে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদে সকল নাগরিক অধিকার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিকে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ৮ মে রাত পৌনে ৯টায় উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের গাংপাড়া গ্রামের আহমদিয়াদের মসজিদের ইমামের ওপর এক বর্বর হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ইমাম মোস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিবৃতিদাতা বিশিষ্ট নাগরিকরা তাদের প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে এক শ্রেণীর উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যথাÑ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, আহমেদিয়া, আদিবাসী এবং নারীদের ওপর বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় বিগত বছরগুলেতে অনেকে অকালে জীবন হারিয়েছেন কিংবা গুরুতর আহত হয়েছেন। অনেকের বাড়িঘর ও অন্যান্য সম্পদ দখল কিংবা লুট করা হয়েছে। এমনকি পবিত্র মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ বিভিন্ন ধর্মের উপসনালয়কেও অপবিত্র করার চেষ্টা চলেছে। আমরা এসব সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা-ের স্থায়ী প্রতিবাদের লক্ষ্যে এদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ ও দ্রুত বিচার বিশেষ আদালতের মাধ্যমে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। একই সঙ্গে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলারও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলেনÑ মানবাধিকারকর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ্যাড. সুলতানা কামাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট কামাল লোহানী, নারী নেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।
×