ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে মানবাধিকার চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ১১ মে ২০১৭

পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে মানবাধিকার চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের মামলায় পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে মানবাধিকার চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদের কথা জানায়। একই সঙ্গে আসামি গ্রেফতারে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বনানীর একটি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে এবং আসামি গ্রেফতারে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক মঙ্গলবার খুলনায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই পুলিশের প্রয়োজন কী আমাদের?’ মামলা দায়েরে দেরির বিষয় ব্যাখ্যা করে পুলিশের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাদী গত ৪ মে বনানী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে গত ২৭ মার্চ রাতে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে কর্তব্যরত অফিসারকে অবহিত করেন। ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর একটি অপরাধের অভিযোগ দীর্ঘ ৩৭ দিন পর থানাকে অবহিত করায় ঘটনার সত্যতা ও বাস্তবতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয়। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের আলোকেই মামলা রুজুর বিলম্বের কারণ এবং ঘটনাটির বাস্তবতা ও সত্যতা সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বনানী থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ৬ মে নিয়মিত মামলা রুজু করে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মামলা হওয়ার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ছায়াতদন্ত শুরু করে। বাদীর অভিপ্রায় অনুযায়ী মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত ও দ্রুত আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে বর্তমানে মামলাটির তদন্তভার উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উর্ধতন কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, অপরাধ বিভাগ ও উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে।’ এই অবস্থায় মানবাধিকার কমিশনের বক্তব্য পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল বলে মন্তব্য করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে নিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
×