ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই গ্রেটের বিদায় নিয়ে পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলি ও রঙিন পোশাকের সেনাপতি সরফরাজ আহমেদ

‘মিসবাহ-ইউনুস পাকিস্তান ক্রিকেটের অভিধান’

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১১ মে ২০১৭

‘মিসবাহ-ইউনুস পাকিস্তান ক্রিকেটের অভিধান’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিসবাহ-উল হক ও ইউনুস খানকে পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘অভিধান’ বা ‘ডিকশনারি’ বলে অভিহিত করলেন পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলি ও রঙিন পোশাকের সেনাপতি সরফরাজ আহমেদ। বিদায়ের মঞ্চে দাঁড়ানো দুই গ্রেটের সঙ্গে খেলতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন স্টাইলিশ আসাদ শফিক আর হার্ডহিটার আহমেদ শেহজাদ। তাদের বক্তব্যের সারমর্ম ঃ ‘দু’জন কেবল ক্রিকেটারই নন, এমন দুই চরিত্র যা দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের একটি পরিপূর্ণ অভিধান রচনা করা যায়। ক্রিকেটীয় এবং ব্যক্তি চরিত্রের এমন কোন শিক্ষণীয় বিষয় নেই যা সেই অভিধানে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ উন্ডিজ সফরে ডমিনিকায় সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টেস্ট খেলছে পাকিস্তান। এটিই হতে যাচ্ছে মিসবাহ ও ইউনুসের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। দু’জনই অন্তিম মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার অন্যতম কারিগর। আজহার বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে মিসবাহ ও ইউনুসের মতো কিংবদন্তিতুল্য দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করার সুযোগ পেয়েছি। এখন অনেকেই হয়ত বিষয়টা সেভাবে উপলব্ধি করতে পারছে না। বিশেষ করে যারা নতুন সদস্য, আজ থেকে পাঁচ-সাত বছর পর যা হৃদয়কে আরও বেশি করে নাড়া দিয়ে যাবে। কারণ অনেকেই তো পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন, ক’জন আর ইমরান খান-ওয়াসিম আকরাম বা মিসবাহ-ইউনুস হতে পেরেছেন? মাঠে তাদের খেলা-নেতৃত্ব, বাইরের অনুপম চরিত্র সবই আমাদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আর ব্যাটসম্যান ইউনুসের কথা বললে ক্যারিয়ারে বাকি জীবন সে আমার আদর্শ। ছোট বেলায় যখন ব্যাট ধরতে শিখেছি তখন থেকে তার মতো হতে চাইতাম। সেই তাকে এত কাছ থেকে পাওয়া আমার জীবনের সেরা প্রেরণা।’ ওয়ানডে ও টি২০ অধিনায়ক সরফরাজ বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে মিসবাহই আমার আদর্শ। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক ঠা-া মাথায় সে দলকে এক সুতোয় গেঁথে রেখেছে। রাগ করে নয় ভালবাসা দিয়ে সবার কাছ থেকে সেরাটা বের করে এনেছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রান করা ইউনুসকে নিয়ে মন্তব্য করার সাহস আমার নেই। সে গ্রেটদেরও গ্রেট। এই ৩৯ বছর বয়সেও যা ফিটনেস, আমি শান মাসুদ-বাবর আযদের মতো তরুণদের সামনে সেটিকে উদাহরণ হিসেবে দেখাই।’ শান মাসুদও মিসবাহ-ইউনুসকে নিজের বাল্যকালের হিরো বলে উল্লেখ করেন। আর কিছুটা ঔদ্ধত্য ও ক্রেজি বলে পরিচিত শেহজাদের মন্তব্য, ‘আপনি চিন্তা করতে পারেন? ২০১০ ও তৎপরবর্তী সময়ে আমাদের ক্রিকেট কি কঠিন সময়ই না পার করছিল।
×