ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতির সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়া ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১১ মে ২০১৭

স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতির সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়া ॥ তোফায়েল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান সংবিধান পরিবর্তন করে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল, এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। বুধবার রাজধানীর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধপূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবেন, এ নীতিতে সংবিধান প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান সংবিধান পরিবর্তন করে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল, এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছিল।’ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বৌদ্ধের দর্শন শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়, মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবার ধর্ম সঠিকভাবে পালন করলে জঙ্গী তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছে। ২০২১ সালে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।’ আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অন্তর্ভুক্ত করে জিয়াউর রহমান এ দেশে জঙ্গীবাদের সূচনা করেন আর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে পুনর্বাসন করেন। তিনি বলেন, সরকার জঙ্গী দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ মদদে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, খালাদা জিয়ার কোন মনোবাসনা পূর্ণ হবে না। খালেদা জিয়া উস্কানি না দিলে বাংলাদেশে জঙ্গী নির্মূল অনেক আগেই হতো। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শুদ্ধনান্দ মহাথেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেনÑ ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুওয়ানাপংস, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
×