ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শনাক্ত কর্মকর্তারা বহাল ॥ ধামাচাপার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১১ মে ২০১৭

শনাক্ত কর্মকর্তারা বহাল ॥ ধামাচাপার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের গার্ড বক্সরুম ও ল্যাম্প রুমে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ গার্ড বক্সরুম জবরদখলের ঘটনায় জড়িতরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দুই মাস পরও বহাল তবিয়তে থাকায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্তে প্রমাণিত জড়িত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে রয়েছে। তদন্ত কমিটি রেলওয়ের স্থানীয় ১৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলে রেল কর্তৃপক্ষ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের। ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বরের এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে গঠিত ৩ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি চলতি সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম)-এর কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। রেলওয়ের স্থানীয় সূত্র জানায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টিআইটি হামিদুল হক খান সাজ্জাদকে ঢাকায়, বুকিং সহকারী রাহাত খানকে শায়েস্তাগঞ্জ ও আলতাব হোসেন আকন্দকে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হলেও বাকিরা রয়েছে বহাল তবিয়তে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের পিএসএম কামাল আহমদকে বদলি করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে শনাক্ত ও জড়িত অপর ১৩ জন হচ্ছে সিলম্যান আব্দুর রাজ্জাক, টিসি গ্রেড-২ জামাল আহমেদ, এমআইসি আব্দুল মান্নান, সহওয়্যারম্যান গ্রেড-৩ বিদ্যুত আনোয়ার হোসেন রেজা, এএসআই সিগন্যাল আবুল হোসেন ফকির, এমএস সিগন্যাল সিরাজুল ইসলাম, চৌকিদার পিডব্লিউআই অফিস নুরে আলম, টিসি গ্রেড-২ মাকসুদুর রহমান, খালাসি বিদ্যুত আস্রাফুল ইসলাম বুলবুল, ভাল্বম্যান ওয়াহেদুল ইসলাম, বিএ গ্রেড-২ সুমন মিয়া, অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন ও কেওয়াটখালির ওয়েম্যান আজিজুল ইসলাম বিপ্লব। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলওয়েম্যান্স অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে বিএনপি সমর্থিত শ্রমিকদলের নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মীরা ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের গার্ড বক্সরুম ও ল্যাম্পরুমে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের পর গার্ড বক্সরুম জবরদখল করে নেয়।
×