ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মিল্টন বিশ্বাস

রবীন্দ্র ভাবনায় বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১১ মে ২০১৭

রবীন্দ্র ভাবনায় বিশ্ববিদ্যালয়

(৯ মে প্রকাশের পর) ॥ পাঁচ ॥ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি যে স্কুল-কলেজের মতো নয়, সেই ধারণা রবীন্দ্রনাথ অর্জন করেছিলেন প্রাচীন ভারতের ‘নালন্দা’র মতো বিদ্যাপীঠ এবং ইউরোপ-আমেরিকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ চক্ষে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে। এজন্য ‘বিশ্বভারতী’র মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত সাংস্কৃতিক বাতাবরণ যেমন প্রত্যাশা করেছেন, তেমনি জ্ঞানচর্চার নতুন নতুন দিগন্ত নিয়ে গবেষণায় শিক্ষকদের উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। তিনি বিদ্যার ফসল শুধু জমানো নয়, বিদ্যার ফসল ফলানোর কথা বলেছেন। একইভাবে বাট্রান্ড রাসেল ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক প্রবন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষককে গবেষণাকার্যে নিযুক্ত থাকার কথা বলেছেন। অধ্যাপনার বিষয়ে অন্যান্য সকল দেশে কী কী গবেষণা হচ্ছে এবং কোথায় কোন নতুন তথ্য বা জ্ঞাতব্য বিষয়ের উপর নতুন আলোকপাত হচ্ছে কিনা তা অধ্যয়ন করার যথেষ্ট অবসর থাকতে হবে।’ (বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, পৃষ্ঠা ১৭)। তাঁর মতে, নতুন জ্ঞান অবলম্বন করেই ক্রমোন্নতির ধারা চলছে। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত এডওয়ার্ড শিলসের ‘দি কলিং অব এ্যাডুকেশন’ গ্রন্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সত্যসন্ধানী জ্ঞানানুরাগী শিক্ষক, গবেষণা পৃথক ও যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ করে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, উদারপন্থী গণতান্ত্রিক সমাজে বিশ্ববিদ্যালয়কে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হলে তার স্বায়ত্তশাসন একটি আবশ্যকীয় শর্ত। তিনিও গবেষণার গুরুত্বকে স্বীকার করে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৌল কাজ হলো জ্ঞানের চর্চা এবং জ্ঞানকে নতুনভাবে উপলব্ধি করা, বিচার করা, পরিচর্যা করা। গবেষণা তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য অবশ্যকরণীয় কাজ। হুমায়ুন আজাদ ‘স্বাধীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়েও এক স্বতন্ত্র রাষ্ট্র।’ (নির্বাচিত প্রবন্ধ, পৃষ্ঠা-২৮৩) শুধু জীবিকা উপার্জনের শিক্ষা দেয়াই লক্ষ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। সংস্কারহীন। জ্ঞানচর্চা, তার সম্প্রচার ও বিচারবিবেচনার স্থান বিশ্ববিদ্যালয়। বলতে হয় বিশ্বভারতীর সাবেক উপাচার্য নিমাই সাধন বসু ‘ভগ্ননীড় বিশ্বভারতী’ গ্রন্থে দুঃখ করে লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ যে আদর্শ নিয়ে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সে আদর্শ আজ সেখানে আর ততটা সজীব নয়। তিনি নানা বৃত্তিজীবী সৃষ্টির পরিবর্তে মানুষ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম সেখানে অধ্যয়নের সময় তাঁর সেই আদর্শকে মেনে চলছে না। এমনকি নিজের কাজ নিজে করার যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তারও ব্যত্যয় ঘটেছে। নিমাই সাধন বসু সেখানকার ছাত্রীদের একটি আচরণ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘তাদের আবাসস্থলের পাচক অনুপস্থিত থাকায় তারা উপাচার্যকে ঘেরাও করলে তিনি তাদের অনুরোধ করেছিলেন, প্রতিষ্ঠানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কষ্ট করে দু’একদিন নিজেদের রান্না নিজেরা করে নিতে। তারা জবাব দিয়েছিল, ‘তরকারি কুটার জন্য আমরা বিশ্বভারতীতে আসিনি।’ রবীন্দ্রনাথের উচ্চতর শিক্ষার আদর্শ আজ আর অনুসরণ করা হচ্ছে না। বর্তমান শিক্ষার্থীরা শিক্ষার ব্যবহারিক সুবিধার দিকে তাকিয়ে থাকে। আসলে বলতে হয় শিক্ষা শেষে বৈষয়িক জীবনে সফল হওয়া যাবে, সেদিকে রবীন্দ্রনাথ তেমন মনোযোগী ছিলেন না। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিদ্যালয় ভাবনাকে স্মরণ রেখেই বলতে হয়, প্রতিষ্ঠা-লগ্ন থেকেই এদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ছিল জ্ঞান সৃষ্টি করা, জ্ঞান-জগতের অভিনব উদ্ভাবনের নতুন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠদান ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের নিয়ত নিয়োজিত রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একাধারে জ্ঞানদান করেন, নিজে জ্ঞান সৃষ্টির জন্য আত্মনিমগ্ন থাকেন, শিক্ষার্থীর সুপ্ত জ্ঞান অভীপ্সা জাগিয়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হন, সর্বোপরি মানবকল্যাণে জ্ঞানকে ব্যবহার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানার্জনে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও সত্য অনুসন্ধান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় সমাপ্তির পর একজন শিক্ষার্থী কেবল একটি সনদ উপার্জনের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন না। বরং সংস্কারমুক্ত ও যুক্তিশীল মননের অধিকারী একজন ব্যক্তি হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নেতৃত্বের অন্যতম পুরোধা তিনি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও গবেষণার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকা- এবং সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মার্কেট ভ্যালুর চেয়ে সোশ্যাল ভ্যালু তৈরি করা জরুরী, যা রবীন্দ্র ভাবনা থেকে আমরা শিখেছি। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিদ্যালয় ভাবনার সূত্র ধরে আরও বলা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হবে মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং জ্ঞান সৃষ্টি ও প্রসারের কেন্দ্রস্থল। আমাদের দেশে রাজনীতির নামে বিবদমান ছাত্র-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাতের কারণে সৃষ্ট নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে চরমভাবে বিঘিœত করেছে; যা অনভিপ্রেত। ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা করতে। দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে তাদের মেধা, মনন বিকাশের দ্বার রুদ্ধ করা হয়েছে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত করে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন বিনষ্ট হচ্ছে, তেমনি সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ এবং নেতৃত্ব গড়ে না ওঠার ফলে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে’ ছাত্র রাজনীতির নামে দলীয় লেজুড়বৃত্তি থাকবে না বলেই আমরা মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে সকল দলের ও মতাদর্শের সমন্বয় সাধন হবে। স্বাধীনভাবে সকলের মতামত প্রকাশের অধিকার থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীরা হবে যুক্তিবাদী। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরাই নিরেট সত্য প্রতিষ্ঠা করবেÑ তবেই শিক্ষাঙ্গন হয়ে উঠবে সঠিক জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রস্থল। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আধুনিক জ্ঞান অনুসন্ধান, জ্ঞানের চর্চা ও জ্ঞানের আদান-প্রদানের তীর্থস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনের মতাদর্শ আরেকজনের ওপর চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। অযথা জোরপূর্বক কাউকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করারও অবকাশ নেই। ॥ ছয় ॥ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন- ‘ওখান থেকে ডিজিজ তৈরি হয়, ডক্টর না। ওখান থেকে উৎপন্ন হয় বৈদ্য নয় ব্যাধি, যে যত উচ্চ পদস্থ বৈদ্য সে তত দুরারোগ্য ব্যাধি।’ আহমদ ছফা ‘গাভী বিত্তান্ত’ নামক আখ্যানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের উপাচার্যের জীবন বর্ণনা করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নামক বিশেষ স্থানের কিছু অপ্রিয় সত্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। একইভাবে মুহাম্মদ জাফর ইকবালও লিখেছেন- ‘মহব্বত আলীর একদিন’ শিরোনামে অপর একটি কাহিনী। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখ্য উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন নয়, ডিগ্রী অর্জন। ভাল চাকরি অর্থাৎ বেশি বেতনের এবং ক্ষমতার চাকরি তাদের কাক্সিক্ষত, সেটা যে প্রতিষ্ঠানেই হোক না কেন। এখানে নৈতিকতার প্রশ্ন করা বাতুলতা মাত্র। রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে প্রকৃত শিক্ষক তারা যারা জ্ঞানী, সৎ, দায়িত্বশীল এবং দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। তারা গবেষণা করেন মানুষের জন্য, বই লিখেন মানুষের জন্য, এরা জাগতিক লোভের কাছে বিক্রি হয়ে যান না। শত ব্যস্ততা থাকলেও তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কখনও ক্লাস ফাঁকি দেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু পড়াশোনাই তাদের লক্ষ্য নয়, তাদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। লোভকে অস্বীকার করে নীরবে নিভৃতে স্বেচ্ছাকৃত দারিদ্র্য নিয়ে এরা জীবনযাপন করেন। অথচ বাংলাদেশে ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঐশ্বরিক ক্ষমতা উপভোগ করেন। তারা শুধু আদেশ করেন। আর ছাত্র-ছাত্রীদের কর্তব্য হচ্ছে সেই আদেশ পালন করা, প্রশ্ন না করা, শিক্ষকের বাণী শুনে ধন্য হওয়া এবং ভয় করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা যেখানে হবে জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যম, সেখানে শিক্ষকরা শুধু বিতরণ করতেই পছন্দ করেন। কোন ছাত্র প্রশ্ন করলে কিংবা যোগ্যতাবলে জ্ঞানের স্রোতকে উল্টো দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করলে, সে হয়ে যায় ‘বেয়াদব’। অথচ রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী থেকে সর্বগুণান্বিত ব্যক্তিকে চেয়েছিলেন। ‘সুষমাস্থাপক’ মানুষ সৃষ্টি করা তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল। এজন্য ১৯৩৬ সালে বিশ্বভারতী স্থাপনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, ডব যধাব নববহ ধিরঃরহম ভড়ৎ ঃযব ঢ়বৎংড়হ...ও যধাব ভবষঃ ঃযধঃ ঃযব পরারষরুধঃরড়হ ড়ভ ঃযব বিংঃ ঃড়-ফধু যধং রঃং ষধি ধহফ ড়ৎফবৎ, নঁঃ হড় ঢ়বৎংড়হধষরঃু. ওঃ যধং পড়সব ঃড় ঃযব ঢ়বৎভবপঃরড়হ ড়ভ ধ সবপযধহরপধষ ড়ৎফবৎ নঁঃ যিধঃ রং ঃযবৎব ঃড় যঁসধহরুব রঃ. ওঃ রং ঃযব ঢ়বৎংড়হ যিড় রং রহ ঃযব যবধৎঃ ড়ভ ধষষ ঃযরহমং. (উদ্ধৃতি, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রজীবনী ৪র্থ খ-)। ॥ সাত ॥ রবীন্দ্র-ভাবনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের যাবতীয় জ্ঞান ভা-ারের রক্ষক। কেবল রক্ষক নয়, বরং সেই জ্ঞানকে সাধনার মাধ্যমে, বোধশক্তি ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে বৃদ্ধি করা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে উপস্থিত করার দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয়ের। সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা এবং তাদের মধ্যে সুস্থ মানসিকতা ও উচ্চমানসম্পন্ন মনন সৃষ্টি করাও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। মুক্তচিন্তার চর্চা, নিরাসক্তভাবে সত্যের অনুসন্ধানের মাধ্যমে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য। এসব লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে ‘রবীন্দ্র ভাবনার বিশ্ববিদ্যালয়কে’ অনুসরণ করে প্রথম শ্রেণির বিদ্যাপীঠ সৃষ্টি করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো সৃজনশীলতার সূতিকাগার। নতুন জ্ঞান সৃষ্টির প্রচেষ্টা, নতুন চিন্তা ও আবিষ্কার সমাজকে এগিয়ে নেয়, এ ভাবনা আমাদের অস্থিমজ্জায় লালন করা দরকার। (সমাপ্ত) লেখক : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
×