ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কারাগারে বন্দীদের জন্য আলোয় মুক্তির গান

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১১ মে ২০১৭

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কারাগারে বন্দীদের জন্য আলোয় মুক্তির গান

সমুদ্র হক ॥ ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে, আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে, দেহ মনের সুদূর পাড়ে হারিয়ে ফেলি আপনারে, প্রাণের সুরে আমার মুক্তি ঊর্ধে ভাসে’। বগুড়া কারাগারের বন্দীরা রবীন্দ্রনাথের এই গান শুনলো রবীন্দ্রজয়ন্তীতে। কারাগারের ভিতরে মহানন্দা জোনে স্থাপিত মঞ্চে বগুড়া শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ গান দিয়ে। কারাবন্দীদের অনেকে এই গান শুনে আবেগের বহির্প্রকাশ ঘটায়। বগুড়া শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সাগর বসাক বলেন, এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বগুড়া কারাগারে প্রথম এই অনুষ্ঠানে কারাবন্দীদের এমন অনুভূতি বলে দেয় আয়োজন সার্থক হয়েছে। কারা অভ্যন্তরে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের আয়োজনে সহযোগিতা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন, জেল সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম। তিনি বলেন, বন্দীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বড় ভূমিকা পালন করবে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব মানবতাকেই আলোর পথ দেখিয়েছেন তার গান কবিতা গল্প উপন্যাসে। জেলা সুপার মোঃ মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর বগুড়ার সহকারী পরিচালক হোসনে আরা বেগম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী। শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা বন্দীদের উদ্দেশে আলোর পথের যাত্রী হয়ে রবীন্দ্রনাথের মানবতার দিক নির্দেশনার গান পরিবেশন করে। বন্দীদের মধ্যেও ক’জন সঙ্গীত পরিবেশন করে। প্রতিটি গানের পর কারাগারে বন্দী দর্শক শ্রোতারা করতালি দিয়ে অভিনন্দিত করে। অনুষ্ঠান শেষ হয় রবীন্দ্রনাথের গান দিয়ে- ‘আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা, আলোর স্রোতে পাল তুলেছে হাজার প্রজাপতি আলোর ঢেউয়ে উঠল মেতে মল্লিকা মালতি...।
×