ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দঃ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তরুণদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১১ মে ২০১৭

দঃ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তরুণদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ

মুন জায়ে ইন ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জিতেছেন। তবে তার এই ব্যাপক দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি হওয়া ক্ষতগুলো সহজে নিরসন করতে পারবে বলে মনে হয় না। ব্রিটেন যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে অথবা আমেরিকায় যেভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিষয়টি অনেকটা সে রকম। এসব নির্বাচন একটি ফল এনে দিলেও বিরাজ রাজনৈতিক সঙ্কট মোচনে ভূমিকা রাখতে পারেনি। সিবিসি নিউজ। পার্ক জিউন হাই যেভাবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত ও কারারুদ্ধ হয়েছেন সেটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে বিভাজন আরও গভীর করেছে। দুর্নীতির দায়ে পার্ককে ইমপিচ করার অনেক কোরীয়ই সমর্থন করে। কিন্তু এর ফলে জনমতও বিভক্ত হয়েছে তীব্রভাবে। পার্কের সমর্থকদের বেশিরভাগ ছিলেন প্রবীণ জনগোষ্ঠী, তারা পার্কের বিষয়ে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে তরুণদের মধ্যে বেড়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। তরুণরা এতদিন পর্যন্ত রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ না দেখালেও তারা এখন বেশ রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবারের নির্বাচনী জয়ী প্রার্থী মুনের সমর্থকদের বেশিরভাগ তরুণ ভোটার। ১৯৫০ সালের দশকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে শিল্পোন্নত পর্যায়ে উঠে এসেছে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র। দেশটি এখন এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বিগত বছরগুলোতে দেশটিতে বেকারত্ব অনেক বেড়েছে। যে কারণে প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি প্রচ- হতাশ নবীন প্রজন্ম। অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যতা দুই প্রজন্মের মধ্যে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছে। যদিও কলেজ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বয়স ২০ কোটায় এমন তরুণদের কাজ যোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে প্রবীণ জনগোষ্ঠী যে খুব সুখে রয়েছে তা নয়। পার্কের সরকার প্রবীনদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনার উদ্যোগ নিলেও সংখ্যাধিক্যের কারণে প্রবীনরা খুব ভাল নেই। একসময় দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫০-এর পর লোকজন অবসর নিত। কিন্তু আয়ুষ্কাল বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে এখন লোকজন অনেক বয়স পর্যন্ত কাজ করছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বয়সের কারণে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের কাছে বয়স্ক লোকদের অসম প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ফলে নবীন ও প্রবীন উভয় জনগোষ্ঠীর মধ্যেই বেকারের সংখ্যা বেড়েছে।
×