ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই ছাত্রী ধর্ষণ

অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি মহিলা পরিষদের

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ১০ মে ২০১৭

 অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি মহিলা পরিষদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেত্রীবৃন্দ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ এবং অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তির’ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের শুরুতেই মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধী একজন ব্যক্তি, কাজেই সে যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নির্যাতনের শিকার নারী প্রায়ই অভিযোগ করতে চায় না। কারণ তারা পুনরায় নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। এই সংষ্কৃতি থেকে বের হতে হলে সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে যে আইন হয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া পরিবার থেকে সন্তানকে যেন যথাযথ মূল্যবোধ দিয়ে বড় করা হয় সেই আহ্বানও তিনি সকল অভিভাবকের প্রতি রাখেন। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অন্যতম সহ-সভাপতি ডাঃ মাখদুমা নার্গিস রতœা বলেন, ‘এটা আমাদের দেশের একটি সংস্কৃতি হয়েছে, যে নারী অত্যাচারের শিকার হয় তাদের নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয় যেন তারা অভিযোগ করতে না পারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায় এই কারণে ধর্ষণের পর অপরাধী নানা ভাবে চেষ্টা করে যেন নির্যাতনের শিকার নারী দ্রুত অভিযোগ করতে না পারে। এই ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। সমাজের এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ। মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ্যাডভোকেসি জনা গোস্বামী। মানববন্ধনে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো, অবিলম্বে অভিযুক্ত পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে হবে; বনানী থানার ওসিকে অভিযোগ গ্রহণে অবহেলার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, রাজনৈতিক ও অর্থবিত্তের প্রভাবমুক্তভাবে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে চার্জশীট দাখিল করতে হবে এবং অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে এবং এই মামলাটি মনিটর করতে হবে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রে নগর কর্তৃপক্ষকে নজরদারির আওতায় রাখতে হবে। ধর্ষণকারী ও নির্যাতনকারী সন্তানদের পারিবারিক আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে, সাইবার ক্রাইম বন্ধ এবং এ সংক্রান্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
×