ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আলভেজের নতুন চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১০ মে ২০১৭

আলভেজের নতুন চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বার্সিলোনার হয়ে আট মৌসুম খেলেছেন। সবমিলিয়ে ২৪৭ ম্যাচ বার্সার জার্সিতে খেলে গোল করেছেন ১৪টি। তবে গত বছর জুনের শেষদিকে কাতালান শিবির ছেড়ে আসেন দানি আলভেস। ব্রাজিলিয়ান এ রাইটব্যাক ইতালির চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের হয়ে তারপর থেকে খেলেছেন ১৬ ম্যাচ। কিন্তু পুরনো ক্লাব বার্সিলোনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একবারই খেলার সুযোগ হয়েছে তার। ৩৩ বছর বয়সী এ ফুটবলার এবারই প্রথম বার্সার বিরুদ্ধে খেলেছেন এবং জয়ও দেখেছেন। আজ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সিলোনা-জুভেন্টাস দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। ৩-০ গোলে প্রথম লেগের জয়টা ধরে রাখার মিশন জুভদের। আলভেজ ওই জয়ের পর জানিয়েছিলেন, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতেই জুভেন্টাসে এসেছেন তিনি। এক সাক্ষাতকারে ফুটবল ক্যারিয়ারের অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন আলভেজ। প্রশ্ন॥ সাদা-কালো জার্সি পরে বার্সার বিরুদ্ধে নামাটা আপনার কাছে অদ্ভূত মনে হচ্ছে না? আলভেজ ॥ অবশ্যই তেমন অনুভূতি হয়েছে। আমি এই ক্লাবটির হয়ে অনেকগুলো বছর একই খেলোয়াড়ের সতীর্থ হিসেবে খেলেছি। এটা নিশ্চিতভাবেই ভূতুড়ে ধরনের অনুভূতি। কিন্তু এটাই ফুটবল। আমি খুবই অস্থির প্রকৃতির মানুষ এবং নতুন অভিজ্ঞতা যে কোন কিছুর চেয়ে সবসময় আমাকে উদ্বুদ্ধ করে। আর সে কারণেই এই মুহূর্তে আমি জুভের সঙ্গে আছি। প্রশ্ন ॥ বুফন, চিয়েল্লিনি ও বোনুচ্চিদের মতো তারকাদের পাশাপাশি খেলার অনুভূতিটা কী? আলভেজ ॥ তারা এই খেলার কিংবদন্তি। দু’জন তো চমৎকার ডিফেন্ডার। আর যেমনটা সবাই প্রত্যাশা করে ইতালিয়ান লীগটা খুবই ভাল এক্ষেত্রে। আমার মতো পজিশনে যারা খেলে তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে থেকে ভালভাবে সবকিছু রক্ষা করতে হয়। আমি গত কয়েক মাস এই ক্লাবে থেকে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে বেশকিছু কাজ করেছি। আমার মনে হয় নতুন যে চিন্তাধারা সেসব বেশ দ্রুতই আমি মানিয়ে উঠতে পেরেছি। আমি নিজেকে একজন বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে ভাবতে পছন্দ করি এবং আমি নিজের খেলার উন্নতি ঘটিয়ে নিজের দক্ষতাটাকে সবার ওপরে রাখতে চাই। কেউ যদি উন্নতি করতে চায় অবশ্যই তাকে নতুন কিছু শিখতে হবে এবং নিজের দক্ষতাগুলো দেখাতে হবে। প্রশ্ন ॥ দূর থেকে এখন বার্সিলোনাকে কেমন দেখছেন? আলভেজ ॥ এটা খুবই অদ্ভূত ব্যাপার। আমার মনে হয় তারা আমাকে খুব মিস করছে। একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমার মনে হয় তারা আমাকে যথেষ্ট সমীহ করে। আমি কিছু আনন্দের উপলক্ষ এনে দিতাম ড্রেসিং রুমে। সেটা হতে পারে কোন নতুন গান কিংবা কোনকিছু নিয়ে নাচানাচি করে এবং প্রতিটি খেলায় অভিনব কিছু করে। আমি সবসময় তাদের সঙ্গে অনবরত কথা বলতাম। আমার মনে হয়, শুধু সে কারণেই তারা বলেছে আমাকে অনেক মিস করছে। প্রশ্ন ॥ জুভেন্টাসের ড্রেসিং রুমটা কি এখন পুরোপুরি ভিন্ন রকমের? আলভেজ ॥ আমার যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে এটা তার মধ্যে অন্যতম। জীবনে আমার অনেক আনন্দ অনুভব করার ব্যাপার আছে। আমার নিজের মতো কিছুটা পরিবেশ গড়ে নেয়ার দরকার ছিল। আমি শক্তিমত্তার ওপর খুবই বিশ্বাসী। আমার মনে হয় মাঠে কোন খেলোয়াড় কতটা ভাল করতে পারছে সেটার প্রভাব দেখা যায় মাঠের বাইরেও। ইতালিতে সতীর্থরা হয়তো কিছুটা বেশিই সিরিয়াস এবং তেমন একটা কথা বলতে উৎসাহী নয়। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ আমি একেবারেই বিপরীত মনোভাবের। আমি হাস্যোজ্জ্বল থাকি, চারদিকে মজা করে বেড়াই। এই ক্ষেত্রে আমার কিছুটা যেন বাধাপ্রাপ্ত মনে হয়েছে নিজেকে। কিন্তু আমি আগেও বলেছি জুভেন্টাস আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং আমি সেটা গ্রহণ করতে ভালবাসি। আমার ধারণা জুভদের দারুণ কিছু দেয়ার সামর্থ্য আমার আছে। মনে হয় তারা আমার ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আর যদি না উঠতে পারে, সেক্ষেত্রে আমি নিজেই তাদের মতো করেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চালাব।
×