ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিতেও শারাপোভাকে এক হাত বাউচার্ডের!

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১০ মে ২০১৭

জিতেও শারাপোভাকে এক হাত বাউচার্ডের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে স্টুটগার্ট ওপেনে ভালভাবেই ফিরেন। সেমিফাইনাল পর্যন্ত ওঠেন মারিয়া শারাপোভা। কিন্তু তার এই ফিরে আসা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার পর থেকেই বেশকিছু বর্তমান তারকার তীব্র রোষের মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে কানাডিয়ান সুন্দরী ইউজেনি বাউচার্ড অন্যতম। মাদ্রিদ ওপেনেও দারুণ শুরু করেছিলেন সাবেক বিশ্বসেরা রাশিয়ান সুন্দরী শারাপোভা। কিন্তু দ্বিতীয়পর্বে তাকে থামিয়ে দিয়েছেন বাউচার্ড। প্রায় তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে ৭-৫, ২-৬ ও ৬-৪ সেটে মাশাকে হারিয়ে দেয়ার পর বাউচার্ড জানিয়েছেন অনেকেই শারাপোভার বিরুদ্ধে। কিন্তু মুখ খুলতে ভয় পান, তারা ম্যাচের আগেরদিন মুঠোফোন বার্তায় এবং সরাসরি দেখা করে শুভকামনা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাউচার্ড। মাদ্রিদ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে এছাড়াও বিদায় নিয়েছেন দুই নম্বর বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা পিসকোভা ও ১০ নম্বর বাছাই ডেনমার্কের ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। গত সপ্তাহেই শারাপোভাকে ‘প্রতারক’ বলে গালি দিয়েছিলেন বাউচার্ড। ওই সময় কঠোর সমালোচনা করে শারাপোভার ফিরে আসার ব্যাপারে দৃঢ়কণ্ঠে প্রতিবাদ জানান এ কানাডিয়ান টেনিস তারকা। তিনি দাবি করেন আজীবন নিষিদ্ধ হওয়া উচিত শারাপোভার। তবে তার এসব কথায় কাজ হয়নি স্টুটগার্টের পর মাদ্রিদেও খেলেছেন এ রাশিয়ান তারকা। উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ড্রাগ মেলডোনিয়াম গ্রহণের কারণে গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন মাশা এবং পরবর্তীতে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে। মাদ্রিদে দ্বিতীয় রাউন্ডে শারাপোভাকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন দারুণ ক্ষুব্ধ বাউচার্ড। তবে সেটাই তাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। কারণ ম্যাচের আগের রাতে অনেক টেনিস ভক্ত-সমর্থক ও টেনিস সংশ্লিষ্ট লোকজন তার সঙ্গে দেখা করেছেন, মেসেজ দিয়ে শুভকামনা জানিয়েছেন এবং শারাপোভার ব্যাপারে তার যে মনোভাব সেটার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। সেই অনুপ্রেরণাতেই আরও জ্বলে ওঠেন বর্তমানে বিশ্বের ৬০ নম্বর র‌্যাঙ্কিংধারী বাউচার্ড। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ফর্মটাকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু শারাপোভার বিরুদ্ধে নামার আগে দারুণ আত্মবিশ্বাস খুঁজে পান নিজের মধ্যে। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য শারাপোভার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন বাউচার্ড। পিছিয়ে পড়েন ৪-২ সেটে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম সেট জিতে যান এ কানাডিয়ান। তবে দ্বিতীয় সেটে ৬-২ গেমে জিতে সমতা আনেন শারাপোভা। ম্যাচ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ সেটে অবশ্য দারুন লড়াই হয়েছে। উভয়ে ভুল করেছেন অনেক। শেষ পর্যন্ত বাউচার্ড জিতেছেন ৬-৪ গেমে। জেতার পর বাউচার্ড বলেন, ‘আমি আসলে ম্যাচের আগে কিছুটা অনুপ্রাণিত ছিলাম। কারণ আমার কাছে অনেক খেলোয়াড় এসেছিলেন ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাত করে আমাকে শুভকামনা জানাতে। যেসব খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমি সাধারণত কথাই বলি না, আবার অপরিচিত কিছু মানুষÑ তারা আমাকে মেসেজ দিয়েছে। এগুলো আমাকে অনেক বেশি উজ্জীবিত করেছে। আমি নিজের জন্যই এটা করতে চেয়েছিলাম। আর এসব মানুষদের জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করেছি। বড় সমর্থন আছে এমনটাই বোধ করছিলাম। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে অধিকাংশ মানুষ আমার সঙ্গে একমত কিন্তু সম্ভবত তারা মত প্রকাশ করতে ভয় পায়।’ তৃতীয় রাউন্ডে বাউচার্ডকে বড় পরীক্ষা দিতে হবে। এক নম্বর বাছাই জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবারের সঙ্গে খেলতে হবে। কারবার চেক তারকা ক্যাতেরিনা সিনিয়াকোভাকে ৬-২, ১-৬, ৭-৫ সেটে হারিয়েছেন। ৮ নম্বর বাছাই রাশিয়ার সভেতলনা কুজনেতসোভা ২-৬, ৭-৬ (১১-৯) ও ৬-২ সেটে হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এ্যালিসন রিসকেকে। ১৪ নম্বর বাছাই ফরাসী তরুণী ক্রিস্টিনা মাদেনোভিচ ৬-৩, ১-৬, ৭-৬ (৭-১) সেটে যুক্তরাষ্ট্রের লরেন ডেভিস, স্পেনের লারা আরুব্যারেনা ৩-৬, ৬-৩, ৬-৩ সেটে ১৫ নম্বর বাছাই চেক তারকা বারবোরা স্ট্রাইকোভাকে হারিয়েছেন। বিদায় নিয়েছেন ২ নম্বর বাছাই ক্যারোলিনা পিসকোভা। তাকে ৬-৩, ৬-৩ সেটে হারিয়ে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়ে সবাইকে চমকে দেন লাটভিয়ার আনাস্তাসিয়া সেভাস্তোভা। এছাড়া ডেনিশ সুন্দরী ওজনিয়াকিকে বিদায় দিয়েছেন স্পেনের কার্লা সুয়ারেজ নাভারো। তিনি জিতেছেন ৬-৪, ২-৬ ও ৬-২ সেটে।
×