ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১০ মে ২০১৭

সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে মিতু আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী মোশাররফ হোসেন (৪৩)। পুলিশ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ বলছে, মোশাররফ হোসেন মাদকাসক্ত ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় জালকুড়ির মাঝপাড়া এলাকায়। জানা গেছে, জালকুড়ি মাঝপাড়া এলাকার আহসান সরদারের ছেলে ও গাড়িচালক মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ১৪-১৫ বছর আগে বরিশালের মিতু আক্তারের বিয়ে হয়। এ দম্পতির ১২ বছর বয়সী এক ছেলে ও ৯ বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। মোশাররফ হোসেন মাদকাসক্ত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার ভোরে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী মিতু আক্তারকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পর তার মেয়ে মুন্নি কান্নাকাটি শুরু করলে মোশাররফ তাকে বাথরুমের ভেন্টিলেটার দিয়ে বাইরে ফেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে একই স্থানে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত দম্পতির ছেলে রায়হান জানায়, মঙ্গলবার সে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। নামাজ শেষ করে আসার পর দেখে তার বাবার হাতে বঁটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবা তাকে লাথি দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দুই গেটে দুটি তালা ঝুলিয়ে দেয়। তখনও ছোট বোন মুন্নি ঘরের ভেতরে ছিল। মেয়ে মুন্নি জানায়, বাবা এক রুমে ভাইকে নিয়ে ঘুমাতেন। আমি আর মা আরেক রুমে ঘুমাতাম। ভোরে বাবা আমাদের রুমে এসে মাকে হত্যার জন্য কোপানো শুরু করেন। মা ভয়ে খাটের নিচে গিয়ে অবস্থান নেন। আমি আর মা চিৎকার শুরু করি। বাবা আমাকে বুকের মধ্যে লাথি মেরে চুপ থাকতে বলেন। বাবা মাকে খাটের নিচ থেকে টেনে এনে বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। আমি চিৎকার করছি বলে বাবা আমার মুখে-বুকে লাথি মেরে বাথরুমের ভেন্টিলেটার দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দেন। বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে হত্যা নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জে এবার রেজিয়া বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার পাষ- ছেলে নুরু মিয়া (৪২)। পুলিশ বলছে, নুরু মিয়া একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক ছেলে নুরু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে চারটায় কদমতলী পশ্চিমপাড়া খালপাড় এলাকায়। নিহত রেজিয়া বেগম সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত মনসুর আলী মাতব্বরের স্ত্রী। জানা গেছে, রেজিয়া বেগমের দুই ছেলে। এক ছেলে নুরু মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ও মৃগীরোগী। সোমবার সকালে নূরু মিয়া নিখোঁজ ছিল। পরে তার ভাই ইসমাইল তাকে যাত্রাবাড়ী থেকে খুঁজে রাত ১০টায় শিকল দিয়ে বেঁধে বাসায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে তার মা তার ছেলের বাঁধন খুলে দেয়। পরে বিকেল ৪টায় নুরু মিয়া তার মার পেছনে পেছনে ঘরে ঢুকে ধারালো বঁটি দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে রেজিয়া বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। সিলেটে স্ত্রী খুন স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, সিলেটের ওসমানীনগরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর হাতে সৈয়দা হেমী বেগম (৫০) নামের এক স্ত্রী খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের খাশিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হেমী খাশিপাড়া গ্রামের হান্নান মিয়ার স্ত্রী। তাদের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান রয়েছে। জানা যায়, হান্নান ও তার স্ত্রী সৈয়দা হেমী বেগমের কয়েক বছর ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। এ নিয়ে তাদের গ্রামের পঞ্চায়েত ও আত্মীয়স্বজনরা একাধিকবার সালিশ করে তাদের পারিবারিক কলহের সমাধান করতে পারেননি। গত রবিবার হেমী বেগমের তৃতীয় ছেলে রুহিন মিয়া তার মায়ের নিকট টাকা চাইলে অপারগতা প্রকাশ করলে এ সময় রুহিন ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে থাকা টিভিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এর জের ধরে গত দুদিন ধরে স্বামী হান্নান মিয়া তার স্ত্রী হেমী বেগমের সঙ্গে ঝগড়া করে আসছেন। মঙ্গলবার ছেলে বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে আবারও হান্নান মিয়া হেমী বেগমের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হান্নান মিয়া ঘরে থাকা বঁটি দা দিয়ে হেমী বেগমের মাথায় একাধিক কোপ দিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হেমী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। বেলকুচিতে কৃষক সংবাদদাতা বেলকুচি সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, বেলকুচিতে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিবেশীর শাবলের আঘাতে আব্দুস সালাম তালুকদার (৬২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত কৃষকের স্ত্রী মুক্তা বেগম আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুস সালাম একই গ্রামের মৃত হবি তালুকদারের ছেলে। জানা গেছে, আব্দুস সালামের সঙ্গে প্রতিবেশী আইয়ুব নবীর লাউগাছের মাচা তৈরি করা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে আইয়ুব নবী তার হাতে থাকা শাবল দিয়ে আব্দুস সালামের বুকে আঘাত করে। এ সময় সালামের স্ত্রী মুক্তা খাতুন ঘটনাস্থলে আসামাত্র তাকেও আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে কৃষক দম্পতিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে আব্দুস সালামের মৃত্যু হয়। স্ত্রী মুক্তা বেগমকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
×