ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি নয় বেকারত্বই দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনের ইস্যু

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১০ মে ২০১৭

দুর্নীতি নয় বেকারত্বই দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনের ইস্যু

পার্ক জিইন হাইয়ের বিদায়ের পর তার একজন উত্তরসূরি নির্বাচনের উদ্দেশে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ মঙ্গলবার ভোট দেয়। দুর্নীতির অভিযোগে পার্ক হাই সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত ও কারারুদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিয়ে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশটিতে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। রাজনীতিকদের দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ শুনতে শুনতে ভোটাররা ক্লান্ত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেকারত্ব ও অর্থনীতির শ্লথ গতি। বামঘেঁষা মানবাধিকার আইনজীবী মুন জায়ে ইন এবং সাবেক টেক জায়ান্ট আহন চেয়ল সু’য়ের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। গত কয়েকমাস ধরে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন মুন। এছাড়া মঙ্গলবারের নির্বাচনে অপর প্রার্থী ছিলেন ক্ষমতাসীন লিবার্টি কোরিয়া পার্টির হং জুন পিয়ো। মঙ্গলবার সিউলের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি ভোটকেন্দ্রে সস্ত্রীক ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুন বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ এখন পরিবর্তনের জন্য ঐকান্তিকভাবে আগ্রহী। ক্ষমতায় যেতে পারলে আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। গ্যালাপ কোরিয়ার সর্বশেষ জনমত সমীক্ষায় দেখা যায় মুনের প্রতি জনসমর্থন ৩৮ শতাংশ, আহন ২০ ও হং ১৬ শতাংশ। হং মুনকে একজন পিয়ংইয়ংয়ের দালাল বামপন্থী অভিহিত করে তাকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সিউলের বাসিন্দা ৭২ বছর বয়সী চাং টায়ে ওয়ান। থাকেন শহরের সেওচো এলাকায়। মঙ্গলবার ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন তিনি হং’কে ভোট দিয়েছেন। কারণ তিনি মনে করেন উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২৪ বছর বয়সী কিম কিয়াং মিন গত সপ্তাহে আগাম ভোট দিয়েছেন। এএফপিকে তিনি জানিয়েছেন পার্ক ও তার প্রশাসনের প্রতি প্রচ- হতাশ। তবে তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন সেটি বলতে অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে রাত আটটা পর্যন্ত। সারাদেশে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার। ।
×