ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লুপাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে ॥ ভিসি কামরুল

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১০ মে ২০১৭

লুপাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে ॥ ভিসি কামরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লুপাস রোগ সম্পর্কে কুসংস্কার ও অপব্যাখ্যা দূর করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান। তিনি বলেন, লুপাস বা এসএলই রোগ সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। লুপাস হলোÑ বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় ও দূরারোগ্য ব্যাধি, যা মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি সাধন করতে পারে। বিশ্ব লুপাস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডাঃ মিলন হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ, লুপাস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটি আয়োজিত সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে বের হয় র‌্যালি। রোগীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট, লুপাস গাইড বই বিতরণ করাসহ রোগীদের সঙ্গে সচেতনতামূলক পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া সেশন বা মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। লুপাস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম এন আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেনÑ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মিনহাজ রহিম চৌধুরী, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুর রহিম, লুপাস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ আতিকুল হক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেনÑ লুপাস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব ফারহানা ফেরদৌস। রোগীদের মাঝে বক্তব্য রাখেনÑ ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদা ফাতেমা ইতি। অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, লুপাস বিষয়ে সারাদেশে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। লুপাস রোগ সম্পর্কে মানুষ খুবই কম জানেন। মানুষকে জানানোর বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লুপাস রোগীদের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি পুনর্বাসনও জরুরী। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের দুয়ার খোলা রয়েছে। দায়িত্ববোধ থেকেই লুপাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, লুপাস রোগীদের হতাশ না হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে থাকার প্রবণতা ধরে রাখতে হবে। লুপাস রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় যাতে রোগীদের সামর্থ্যরে মধ্যে থাকে তা বিবেচনায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের ওষুধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। লুপাস রোগীদের দরদ, যতœ ও ভালবাসা দিয়ে সেবা দিতে হবে। অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে লুপাস রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও লুপাস রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। অন্য বক্তারা বলেন, বিশ্বে ৫০ লাখ লুপাস রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এ রোগ প্রতি এক লাখে ২০ থেকে ১৫০ জনের হতে পারে। শতকরা ৯০ ভাগ লুপাস রোগী কমবয়সী মহিলা। শতকরা ৬৫ ভাগ রোগীর বয়স ১৬ থেকে ৫৫ এর মধ্যে, শতকরা ২০ ভাগ ১৬ বছরে নিচে এবং শতকরা ১৫ ভাগ ৫৫ বছরের বেশি। ছেলেদের এ রোগের প্রকোপ মেয়েদের চেয়ে অনেক কম। অন্য বক্তারা এ রোগের চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি বিশেষ করে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন পদ সৃষ্টি ও গবেষণার সুযোগ-সুবিধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, লুপাস সম্পর্কে বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে সুষ্পষ্ট ধারণা নেই।
×