ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ১৭ নারী পুরুষ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১০ মে ২০১৭

মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ১৭ নারী পুরুষ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ প্রায় বছর তিনেক বন্ধ থাকার পর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মানবপাচারকারী চক্র। টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মালয়েশিয়া পাচার করার সময় ১৭ নারী-পুরুষকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় দুই দালালকেও আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ সদর হাতিয়ারঘোনা এলাকায় খবর পেয়ে পুলিশ এ অভিযান চালায়। আটক দুই মানবপাচারকারী টেকনাফ সদর হাতিয়ারঘোনার মোক্তার আহম্মদের পুত্র মোঃ খলিল ওরফে ইসমাইল ও মোঃ তৈয়বের স্ত্রী বুলবুলি মানবপাচারে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মাঈন উদ্দিন খান জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, গোপন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে মানবপাচার বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মানবপাচারকারীরা দুটি বসত ঘরে মহিলাসহ ১৭ রোহিঙ্গাকে আটকে রেখেছিল। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা টেকনাফের লেদা ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনিবন্ধিত শরণার্থী। দালালরা জানায়, মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত টেকনাফ সদরের হাতিয়ারঘোনা এলাকায় এদের নিয়ে আসা হয়। উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষরা হচ্ছে- মিয়ানমারের বুচিডং বলিবাজার এলাকার নুর হাসেমের স্ত্রী আজিদা বেগম, জলিলের পুত্র মোঃ রফিক, মংডু ঝিমংখালী থানার মরিক্ষং এলাকার নুর হোসেনের পুত্র জামাল, গোলাব্বরের পুত্র জোবাইর, খুইল্যা মিয়ার পুত্র মোঃ ইলিয়াছ, নুর ছালামের পুত্র মোঃ রফিক, লাল মিয়ার পুত্র মোঃ ইদ্রিস, আবুল কালামের পুত্র নুর সালাম, সিকান্দারের পুত্র মোঃ সেলিম, আব্দু শুক্কুরের পুত্র মোঃ আইয়ুব, জাফর আহম্মদের পুত্র মোঃ ইউনুস, সোনা আলীর পুত্র জোবায়ের ইসলাম, নুর আলমের পুত্র জাহেদ হোসেন, কাশিম আলীর পুত্র আবদুল হক, সৈয়দুল আমীনের স্ত্রী আছিয়া বেগম, আবদুল হকের কিশোরী মেয়ে সমিরা আক্তার ও ইমান হোসেনের স্ত্রী রফিকা বেগম। এদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ১ শিশু রয়েছে।
×