ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পতিসরে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধনীতে রাষ্ট্রপতি

রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ বপন করেছিলেন

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৯ মে ২০১৭

রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ বপন করেছিলেন

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ থেকে ॥ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মজয়ন্তী উৎসবে কবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁর পতিসরে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের দিকপাল। বাংলা সাহিত্যকে পূর্ণতা দিয়েছেন তিনি। তার রচনায় বাংলা সাহিত্য হয়েছে সমৃদ্ধ। আজ যখন বিশ্বের সর্বস্তরে উগ্র মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তখন রবীন্দ্রচর্চা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎস। তিনি জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালী জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার ধারণা ছিল পতিসর অন্তত একটি ইউনিয়নের নাম। কিন্তু বাস্তবে দেখছি এটি একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলার এই বাংলার একটি গ্রাম এই পতিসর। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গ্রামে তার এই কাছারিবাড়িতে বসে প্রজাদের কথা ভেবেছেন। তিনি গ্রামের মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। তাই প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে শিক্ষিত করতে তিনি স্কুল স্থাপন করেছেন। নিজের নোবেল পুরস্কারের প্রাপ্ত অর্থ স্থানীয় কৃষি ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। তার অসংখ্য কবিতা, গান, কাব্য রচনা করে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশকে জাতির জনক প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসম্ভার যেমন বিশাল তেমনি আপন মহিমায় বর্ণাঢ্য। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ঠাকুর পরিবারের জমিদার। কিন্তু জমিদারি তিনি পছন্দ করতেন না। নিজে জমিদার হয়েও জমিদারকে তিনি বলেছেন জমির জোঁক-প্যারাসাইট। রবীন্দ্রনাথ সুবিধাবঞ্চিত বাঙালীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। তিনি সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ নয়, বাঙালীর বিশ্ববাদে দীক্ষা দিতে চেয়েছেন। তিনি দরিদ্র প্রজাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কৃষি ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, সমবায় নীতি ও কল্যাণ বৃত্তি চালু করেন। প্রতিষ্ঠিত করেন হেল্থ কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও কৃষি ল্যাবরেটরি। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ বপন করেছিলেন। তিনি নিজে মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। একুশ শতকের পৃথিবী যখন একটি বিশ্বগ্রামে পরিণত হয়েছে তখন রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও দর্শন হয়ে উঠেছে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ। সোমবার বিকেল তিনটায় পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গরে দেবেন্দ্র মঞ্চে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে আয়োজিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী এবার উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা হয়। এবার কবিগুরুর ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, ‘মানুষের ধর্ম: রবীন্দ্রনাথ ও সমকালীন প্রাসঙ্গিতা’। এ বিষয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিজ প্রামানিক এমপি, ইসরাফিল আলম এমপি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আমিনুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি, মোঃ আব্দুল মালেক এমপি, মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম, পিপিএম প্রমুখ। এদিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সোমবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব জমিদারি নওগাঁর পতিসরে জাতীয়ভাবে পালন করা হলো ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী। সরকারীভাবে এখানে একদিনের কর্মসূচী নেয়া হলেও স্থানীয়ভাবে নেয়া নানা কর্মসূচী ও রবীন্দ্রমেলা অন্তত সাতদিন চলবে। প্রতিবছর দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হলেও এবারের উৎসবের ঘটা ছিল ব্যাপক আকারে। কবির জন্মোৎসবের অনুষ্ঠানে এবার রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকায় উৎসবের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। রাষ্ট্রপতির উপস্থিতির জন্য অনুষ্ঠানের কলেবর বৃদ্ধির পাশাপাশি সৌন্দর্যও ছিল মনোমুগ্ধকর। কবির জন্মবার্ষিকীতে পতিসর কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণে কবিভক্তদের নেমেছিল ঢল। প্রত্যন্ত গ্রামে কবির প্রিয় সেই নাগর নদের পারে কবিভক্তদের যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকেই সেখানে সমবেত হতে থাকে রবীন্দ্রভক্তরা। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মনিয়ারি ইউনিয়নের পতিসর কাছারিবাড়ি ও প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে উৎসবমূখর। কাছারিবাড়ি সংলগ্ন মনিতলা মন্দির প্রাঙ্গণে বসেছিল রবীন্দ্রমেলা। নানা রকমের মিঠাই-মিষ্টান্নসহ আকর্ষণীয় খাবারের দোকান ছাড়াও বসেছিল প্রসাধনী, শিশুদের খেলনাসহ নানা ধরনের মনকাড়া সামগ্রীর দোকান। পাকা রাস্তা ও মেঠোপথ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে মাঠের পর মাঠ অতিক্রম করে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলেই সমবেত হয়েছিল কবির এই কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণে। হাজার হাজার কবিভক্তের পদচারণায় গোটা পতিসর যেন উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। অনুষ্ঠানে আগত আত্রাইয়ের গৃহিণী সাবিনা নবা (৪২), মনিয়ারি গ্রামের সেবা রানী (২৬), নওগাঁ শহরের উকিলপাড়ার শিক্ষিকা সাথী (৩০), আত্রাইয়ের ইসলামগাঁথি গ্রামের শিক্ষিকা মৌসুমী (২৭), গোয়ালবাড়ি গ্রামের গৃহিণী মর্জিনা (৩৯) এবং রানীনগরের আতাইকুলা গ্রামের রাসমনি সূত্রধর (৮৫) কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীতে এবারই তারা প্রথম এসেছেন পতিসরে। বৃদ্ধ রাসমনির মতে, এত জনসমাগম তিনি আগে দেখেননি। এটিকে একটি তীর্থস্থান হিসেবে তার কাছে মনে হয়েছে। ওই গ্রামেরই ঝিয়ারি মাকসুদা পারভীন জানান, তার বিয়ে হয়েছে নাটোরের সিংড়ায়। কবির জন্মদিনের উৎসব উপভোগ করতে তিনি বাবারবাড়িতে নাইয়োরে এসেছেন। একই কথা বললেন, মনিয়ারি গ্রামের আঞ্জুয়ারা, মোমেনা, শারমিনসহ অনেকেই। তাদের মতে, এই অনুষ্ঠান কারও একার নয়। কবির জন্মোৎসব মানেই গোটা বাঙালী জাতির উৎসব। কারণ কবি কারও একক সম্পদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন, বাঙালী জাতির কবি, বাঙালীর আত্মার কবি, বিশ্বকবি। পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও স্থানীয় শিল্পীরা পরিবেশন করে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শাহজাদপুরে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন নিজস্ব সংবাদদাতা শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে জানান, শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি মিলনায়তনে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী সোমবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। প্রধান অতিথি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও জীবনদর্শনের ওপর আলোকপাত করেন। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মণিষী রবীন্দ্রনাথের কর্মকে ব্যক্তিজীবনে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য অনুরোধ জানান। এসময় সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত জনবল নিয়োগ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা হবে। বেলা ১১টায় রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মেরাজ উদ্দিন, শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে বিকেল তিনটায় পুনরায় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে শাহজাদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাতদিনব্যাপী বৈশাখি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলায় সকাল থেকেই মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শিলাইদহে নানা আয়োজন নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কবির স্মৃতিধন্য শিলাইদহ কুঠিবাড়ি চত্বরে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠান। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার দুপুরে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর জীবন ও সাহিত্যে প্রবলভাবে বিচরণ করেছেন। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল অর্জন করে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে যেমন বিশ্ব দরবারে স্থান করে দিয়েছেন তেমনি বাঙালীকেও এনে দিয়েছেন মর্যাদা। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রকর, দার্শনিক, সমাজচিন্তক ও মানবহিতৈষী। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক জহির রায়হানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রহমান, কবি আলম আরা জুঁই, আব্দুল মান্নান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শিলাইদহের তিনদিনের এ আয়োজনকে ঘিরে উৎসবের আমেজে দূর-দূরান্ত থেকে আগত নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুঠিবাড়ি চত্বর। বসেছে গ্রামীণমেলা। খুলনার দক্ষিণডিহিতে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন ও রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ফুলতলার দক্ষিণডিহি ‘রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ প্রাঙ্গণে ২৫-২৭ বৈশাখ তিন দিনব্যাপী (৮, ৯ ও ১০ মে) অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি। খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব ডাঃ কাজী শহীদুল আলম, খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ ও ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্র চিন্তায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা’ বিষয়ে প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ রজিকুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আশরাফ হোসেন আশু, সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন জিপ্পী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৃণাল হাজরা। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে প্রতিদিন দুপুর দুটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোকমেলা, বিকেলে আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে।
×