ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে দশ সরকারী সীড ভাণ্ডার বেদখলে

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৯ মে ২০১৭

আমতলীতে দশ সরকারী সীড ভাণ্ডার বেদখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৮ মে ॥ বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় কৃষি বিভাগের ১০টি পরিত্যক্ত সীড ভা-ার ও জমি স্থানীয় লোকজন দখল করে নিয়েছে। এতে দু’উপজেলার ৬৬ হাজার কৃষক দীর্ঘদিন ধরে বীজ রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না। জানা গেছে, ১৯৬১ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার, গুলিশাখালীর গোছখালী, চাওড়ার ঘটখালী, হলদিয়ার অফিস বাজার, কুকুয়ার আজিমপুর বাজার, আমতলী সদরের পশু হাসপাতাল সড়ক, পচাকোড়ালিয়ার বলতলা, কড়াইবাড়িয়ার নলবুনিয়া, বড়বগীর তালতলীপাড়া ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালীতে সীড ভা-ার নির্মাণ করেছে। প্রতি সীড ভা-ার নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগ ৬৬ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে। ওই জমিতে কৃষি মন্ত্রণালয় দু’কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ১৯৯৫ সালে ভবনগুলো পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ওই সকল ভবন ও জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে। এতে দু’উপজেলার ৬৬ হাজার কৃষক তাদের বিভিন্ন জাতের ফসলের বীজ রাখতে সমস্যা হচ্ছে। সীড ভা-ার না থাকায় কৃষকরা স্থানীয়ভাবে বীজ রক্ষণাবেক্ষণ করছে। স্থানীয়ভাবে বীজ রাখায় অনেক সময় বীজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারীভাবে আসা বীজ কৃষি অফিসের রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সীড ভা-ারের পরিত্যক্ত ভবনগুলো অনেকটা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আটটি সীড ভা-ার ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও স্থানীয় লোকজন দখল করেছে। আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার ও আজিমপুর বাজারের সীড ভা-ারের জমি স্থানীয় লোকজন দখল করে দোকান নির্মাণ করেছে। সোনাখালী, অফিস বাজার ও নলবুনিয়ার জমি দখল করে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করেছে। বড়বগী ও আমতলী সদরের সীড ভা-ার ভবন জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করেছে। কৃষি প্রযুক্তিমেলা উদ্বোধন সংবাদদাতা, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, ৮ মে ॥ সোমবার সকাল ১০টায় পীরগঞ্জ উপজেলার লোহাগাড়া নামক স্থানে কৃষি প্রযুক্তিমেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় অংশ নেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। মেটাল এ্যাগ্রো কোম্পানি লিমিটেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মেলায় বক্তব্য দেনÑ কোম্পানির পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল তরিকুল আলম খান, জেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম মাহমুদুল ইসলাম, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কণ্ঠস্বর বর্মণ, ইউএনও এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ৮ মে ॥ শাহআলী থানাধীন তুরাগ তীর দখল করে গড়ে উঠা অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা সোমবার উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়া দুটি বালুর গদি অপসারণ ও মালামাল নিলামে বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত মান্নানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। বিআইডব্লিউটিএ জানায়, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সিন্নীরটেক ল্যান্ড স্টেশন থেকে তামান্না পার্ক পর্যন্ত তুরাগ তীরে অভিযান চালিয়ে টং ঘর, ঝুপড়ি ঘরসহ ৫৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
×