ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এখন সবাই লাল রাস্তা নামে চেনে

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৯ মে ২০১৭

এখন সবাই লাল রাস্তা নামে চেনে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৮ মে ॥ সম্পূর্ণ সিলকোট উঠে গেছে। ইটের খোয়া সরে বালু পর্যন্ত বেরিয়ে গেছে অধিকাংশ জায়গায়। এখন এটিকে লাল রাস্তা নামেই চেনে মানুষ। যেন যক্ষ্মা রোগির বুক। ভাড়াটে হোন্ডা, টমটম কিংবা ভ্যানে কেউ চড়তে চায় না। কারণ লাল ধুলায় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও যার দায় পড়ে তাকে চলতেই হচ্ছে এ রাস্তা দিয়ে। কবে এ রাস্তাটি সিলকোট করা হয়েছে তা এলজিইডির স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানাতে পারেননি। তবে ধানখালীর চেয়ারম্যান লতিফ গাজী জানালেন প্রায় ১০ বছর আগে (২০০৭-০৮ অর্থবছরে) রাস্তাটি করা হয়েছে। একই কথা অনেক ভাড়াটে হোন্ডা চালকদের। লোন্দা খেয়াঘাট থেকে নমরহাট পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ওপর পাকা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। কত টাকা ব্যয় তাও কেউ জানাতে পারেনি। নির্মাণকালেও রাস্তাটি সঠিকভাবে করা নিয়ে মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। এখন সবাই বলছে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের মালবাহী ভারি যানবাহন চলাচলে রাস্তাটির এমন বেহালদশা হয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই শত শত স্পটে খানা-খন্দ হয়ে যায়। পরে তা একাকার হয়ে গেছে। এখন এ রাস্তাটি সেখানকার মানুষসহ শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলে চরম ভোগান্তির কারণ হয়েছে। শোনা যায় বিদ্যুত প্লান্ট কর্তৃপক্ষ লোন্দা খেয়াঘাট থেকে হাফেজ প্যাদার বাজার সংলগ্ন টিয়াখালীর ব্রিজ পর্যন্ত মেরামত করবে। কিন্তু বাকি অংশের কী হবে। এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে সামান্য জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটায় গোটা সড়কটি ভেসে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত এ বেড়িবাঁধটি কে করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার দোলাচলে পড়েছে। আর ধানখালীর ৪০ হাজার মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। স্থানীয়দের দাবি কে করবে তা বিষয় নয়।
×